ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামের ‘গ্যাস সংকট’ ইতিহাসে স্থান নেবে

তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
চট্টগ্রামের ‘গ্যাস সংকট’ ইতিহাসে স্থান নেবে এলএনজি আমদানি সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পপতি আমিরুল হক

চট্টগ্রাম: সারা দেশে ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে সরকারের এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী উল্লেখ করে এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক ও সীকম শিপিং লাইন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক বলেছেন, চট্টগ্রামে গ্যাস সংকট ছিল এটি এখন ইতিহাসে স্থান নেবে।

তিনি বলেন, আগে আমরা দাবি জানাতাম ‘গ্রিড লাইন’ থেকে চট্টগ্রামে গ্যাস দিতে। এখন চট্টগ্রাম থেকে সারা দেশকে গ্যাস দেওয়া হবে।

বিশ্বায়নের যুগে এলএনজি আসতেই থাকবে। কাতার এলএনজি রপ্তানি করছে, বিশ্বব্যাপী কিনছে।
সুতরাং এখানেও আসতেই থাকবে এবং ভালোভাবে ব্যবহার হবে। আমাদের প্রতিষ্ঠানটি এ ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।

বুধবার (২৫ এপ্রিল) বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।  

আমিরুল হক বলেন, গ্যাস আমরা কোনো দিন রপ্তানিও করিনি, কোনো দিন আমদানিও করিনি। গ্যাস আমদানি-রপ্তানির যে নতুন বাণিজ্য তাতে বাংলাদেশ প্রবেশ করল। আগে এলপি গ্যাস আনা হতো অল্প পরিমাণে। সেভাবে শিল্পায়ন সম্ভব নয়। এলপি গ্যাসের চাহিদা ছিল। সেটি গৃহস্থালি ও গাড়িতে ব্যবহৃত হতো। এলএনজির সমূহ-সম্ভাবনা আছে। বিশ্বে  নতুন প্রযুক্তির জাহাজ এলএনজি দিয়ে চলে। সবচেয়ে বড় কথা হলো ‘গো গ্রিন’ কনসেপ্ট।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গ্যাসলাইন, কানেকটিভিটি যখন হবে উৎপাদনশীলতা বাড়বে। গ্যাসের দাম ‘কস্ট ইফেকটিভ’ রাখতে হবে। ভোক্তাদের জন্য সহনীয় রাখতে হবে গ্যাসের দাম। আমাদের দেশে দুটি জিনিস আছে। একটি ‘কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস’ কম। শ্রমিকের বেতন কাঠামো কম। এ ‘কম’ থাকলে বিশ্বের যেকোনো দেশের সঙ্গে আমরা প্রতিযোগিতা করতে পারব। দ্বিতীয়টি হচ্ছে বন্দরসেবা, বিদ্যুৎ, সড়ক, অবকাঠামো ‍যত বাড়বে তত বিনিয়োগ বাড়বে। এ বিনিয়োগটা ফেনীর মুহুরী নদী থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত থাকবে। ওই দিকে কক্সবাজারে মহেশখালীকে ঘিরে ব্লু ইকোনমিতে আমরা যাত্রা শুরু করেছি।

চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণ ও সক্ষমতা বাড়ানো প্রসঙ্গে এ শিল্পপতি বলেন, চট্টগ্রাম রিজিওনাল হাব। চাটগাঁ পুণ্যভূমি। এটা প্রকৃতির দান। সুন্দরবন যেমন ব্যতিক্রম, পার্বত্য চট্টগ্রাম যেমন ব্যতিক্রম তেমনি চট্টগ্রামও। কর্ণফুলী মোহনা থেকে মিরসরাই, সন্দ্বীপ পর্যন্ত বন্দর সম্প্রসারণ হবে। চট্টগ্রামে ১৪-২২ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) জাহাজ ভিড়তে পারবে। গভীর সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামেও হবে। প্রয়োজনের তাগিদে হবে।

এলএনজি নিয়ে মহেশখালীতে ভিড়ল ‘এক্সিলেন্স’

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।