রোববার (২২ এপ্রিল) এসজিএস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্ক্যানার মেশিন পরিচালনার মেয়াদ শেষে কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের (এআরও) মাধ্যমে পরিচালনার পর থেকে ধীরগতিতে স্ক্যানিং হচ্ছে। এআরওদের সহযোগিতা করছে নতুন দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ‘৫আর-নুকটেক’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার বাংলানিউজকে জানান, বেশ কিছু বেসরকারি কনটেইনার ডিপো (অফডক) থেকে জানানো হয়েছে কনটেইনার স্ক্যানিংয়ে ধীরগতি এবং একই কনটেইনারকে তিন-চারবার স্ক্যানিং করায় সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। বলা যায় অনভিজ্ঞ স্ক্যানিং মেশিন অপারেটরদের কারণে কনটেইনার ছাড় করার হার তিন ভাগে এক ভাগে নেমে এসেছে।
চিটাগং কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, স্ক্যানিং মেশিন কারা অপারেট করবে সেটি সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা চাই কাজে যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে।
তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিতে না পারায় স্ক্যানার মেশিন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। তাদের লোকবল দিয়েই স্ক্যানিংয়ের কাজ করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার ড. একেএম নুরুজ্জামান কনটেইনার স্ক্যানিংয়ে ধীরগতির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কাস্টম হাউসের এআরওদের দিয়ে স্ক্যানার মেশিনগুলো চালানো হচ্ছে। রোববার থেকে তারা কাজ শুরু করেছে। ক্রমে দক্ষতা অর্জন করছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি হলে নতুন প্রতিষ্ঠান স্ক্যানিং মেশিন অপারেট করবে।
বন্দরের স্ক্যানিং অপারেটরদের একযোগে পদত্যাগের হুমকি
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
এআর/টিসি