ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮
সরকার দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে বাঁশখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বক্তব্য দেন ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া

চট্টগ্রাম: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ‘বাংলাদেশ দুর্যোগ প্রবণ দেশ। দুর্যোগের সাথে কৌশলে লড়াই করে আমাদের বাঁচতে হবে। পূর্বের মত হাজারো মৃতদেহ আর আমরা দেখতে চাই না। সরকার এজন্য দুর্যোগ মোকাবেলায় খাদ্য, বস্ত্র, গৃহনির্মাণ সামগ্রী, বিশুদ্ধ পানিসহ সব ধরণের সরঞ্জাম নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে।’

মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বাঁশখালী উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাঁশখালী উপজেলা অডিটরিয়ামে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘বাঁশখালীতে একশটি সাইক্লোন সেন্টার রয়েছে।

আরও একশটি সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বন্যাকবলিত এলাকায় গৃহপালিত পশুপাখি নিরাপদে রাখতে হবে।
এগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব কিল্লা নির্মাণ করে দিয়েছে। বর্তমানে বাঁশখালীতে ১১টি মুজিব কিল্লা রয়েছে। এগুলো শতভাগ ব্যবহার উপযোগী করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মহসীনের সভাপতিত্বে সভায় বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলামসহ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ বক্তব্য রাখেন।

এসময় চেয়ারম্যানগণ নিজ এলাকার কাবিখা, কাবিটা, টিআর, ব্রিজ, কালবার্ট, সাইক্লোন সেন্টারসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন।

দুর্যোগ প্রস্তুতি আরো জোরদার করার জন্য সিপিপি কর্তৃক আয়োজিত নাপোড়া শেখেরখীল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুর্যোগ প্রস্তুতিমূলক মাঠ মহড়ার আয়োজন করা হয়। মহড়ায় মসজিদ, ইমাম সাহেবের আযান, বিবাহ অনুষ্ঠান, বর যাত্রী পালকিসহ কণের বাড়ি রওনার দৃশ্য, কৃষকের মাঠে ফসল কাটার দৃশ্য, লাল পতাকা উত্তোলনের কারণ, ঘূর্ণিঝড় সচেতনতামূলক গান এবং বন্যা কবলিত এলাকার দৃশ্য দেখানো হয়।

এসময় সিপিপির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে সিপিপি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিপিপিকে জনবল বৃদ্ধি করে আরও শক্তিশালী ও কার্যকরী করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। যেকোনো দুর্যোগে এরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনস্বার্থে কাজ করে। তাদের অবদান অনেক বেশি এবং প্রশংসারযোগ্য।

বাঁশখালীর উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঁশখালীর বেড়িবাঁধের জন্য ৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। তিনি সবসময় বলেন, আমি বাঁশখালীর একটা মানুষও হারাতে চাই না। আপনাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী খাদ্য, বস্ত্র নিরাপত্তা, শিক্ষাসহ সব ধরণের উন্নয়ন করেছেন। বাঁশখালীর জনগণের জন্য সরকারের দরদ রয়েছে। যে কারণে আমি নিজে এবছর চার বার বাঁশখালীতে এসেছি। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন। এ এলাকার উন্নয়নের ধারা আরো বেগবান করার জন্য নৌকায় ভোট দিয়ে পুনরায় সেবা ও উন্নয়নের সুযোগ চান ত্রাণমন্ত্রী।

এসময় সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে দুর্যোগকালীন সময়ে ব্যবহারের জন্য হ্যান্ডমাইক তুলে দেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।