২৭৭ মিটার লম্বা, ৪৪ মিটার প্রস্থ এবং ১২ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) এ জাহাজে রয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ঘনমিটার তরল গ্যাস। সব কিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বেলা দুইটা নাগাদ কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ভিড়বে বিশেষায়িত জাহাজটি।
বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান ‘এক্সিলেন্স’র স্থানীয় এজেন্ট সীকম শিপিং লাইন্স লিমিটেডের পরিচালক জহুর আহমেদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় জাহাজ আগে আসেনি।
জহুর আহমেদ বলেন, সীকম শিপিং লাইন্স লিমিটেড এলএনজির প্রথম জাহাজের স্থানীয় এজেন্ট তা নয়, ২০০০ সালে দেশে প্রথম যে জাহাজে লিক্যুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) গ্যাস আমদানি করা হয়েছিল তারও এজেন্ট ছিল।
রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, প্রাকৃতিক গ্যাসকে শীতলকরণ (রেফ্রিজারেশন) প্রযুক্তির মাধ্যমে তাপমাত্রা কমিয়ে মাইনাস ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে তরলে (এলএনজি) পরিণত করা হয়। ‘এক্সিলেন্স’ জাহাজটিতে এলএনজিকে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা ব্যবহার করে আবার প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তর করা হবে। এরপর পাইপলাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রামসহ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
এরই মধ্যে মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ৯১ কিলোমিটার পাইপলাইনের কমিশনিং (গ্যাস ঢুকিয়ে সফল পরীক্ষা) সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন আনোয়ারা থেকে সীকাকুণ্ড পর্যন্ত ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের আরও ৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের কাজ চলছে।
তিনি জানান, যদি সীতাকুণ্ড পর্যন্ত পাইপলাইন তৈরির কাজ শেষ না হয় তবে আপাতত এলএনজি থেকে পাওয়া গ্যাস শুধু চট্টগ্রামে সরবরাহ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
এআর/টিসি