ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এলএনজি নিয়ে মাতারবাড়ী আসছে ‘এক্সিলেন্স’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
এলএনজি নিয়ে মাতারবাড়ী আসছে ‘এক্সিলেন্স’ এলএনজি আমদানির প্রথম চালান নিয়ে আসছে ‘এক্সিলেন্স’

চট্টগ্রাম: দেশে ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে অবশেষে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির প্রথম চালান নিয়ে আসছে ‘এক্সিলেন্স’ নামের একটি জাহাজ।

২৭৭ মিটার লম্বা, ৪৪ মিটার প্রস্থ এবং ১২ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) এ জাহাজে রয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ঘনমিটার তরল গ্যাস। সব কিছু ঠিক থাকলে মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বেলা দুইটা নাগাদ কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ভিড়বে বিশেষায়িত জাহাজটি।

বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান ‘এক্সিলেন্স’র স্থানীয় এজেন্ট সীকম শিপিং লাইন্স লিমিটেডের পরিচালক জহুর আহমেদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় জাহাজ আগে আসেনি।

এটি সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত জাহাজ। আমেরিকান কোম্পানির জাহাজটি মধ্যপ্রাচ্যের কাতার থেকে এলএনজি নিয়ে বাংলাদেশে আসছে। এরপর এটি ব্যবহৃত হবে ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) হিসেবে। জাহাজটি উপকূল থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে ভাসমান টার্মিনাল হিসেবে। ১৫ বছর বিদেশি প্রতিষ্ঠানটি জাহাজ ভাড়া পাবে। এরপর এটি বাংলাদেশ সরকারের মালিকানায় চলে আসবে।

এলএনজি গ্যাসের পাইপলাইন সীতাকুণ্ড পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।  ছবি: উজ্জ্বল ধর, বাংলানিউজজহুর আহমেদ বলেন, সীকম শিপিং লাইন্স লিমিটেড এলএনজির প্রথম জাহাজের স্থানীয় এজেন্ট তা নয়, ২০০০ সালে দেশে প্রথম যে জাহাজে লিক্যুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) গ্যাস আমদানি করা হয়েছিল তারও এজেন্ট ছিল।  

রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, প্রাকৃতিক গ্যাসকে শীতলকরণ (রেফ্রিজারেশন) প্রযুক্তির মাধ্যমে তাপমাত্রা কমিয়ে মাইনাস ১৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামিয়ে তরলে (এলএনজি) পরিণত করা হয়। ‘এক্সিলেন্স’ ‍জাহাজটিতে এলএনজিকে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা ব্যবহার করে আবার প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তর করা হবে। এরপর পাইপলাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রামসহ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।

এলএনজি গ্যাসের পাইপলাইন সীতাকুণ্ড পর্যন্ত নেওয়ার কাজ চলছে।  ছবি: উজ্জ্বল ধর, বাংলানিউজএরই মধ্যে মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ৯১ কিলোমিটার পাইপলাইনের কমিশনিং (গ্যাস ঢুকিয়ে সফল পরীক্ষা) সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন আনোয়ারা থেকে সীকাকুণ্ড পর্যন্ত ৪২ ইঞ্চি ব্যাসের আরও ৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের কাজ চলছে।

তিনি জানান, যদি সীতাকুণ্ড পর্যন্ত পাইপলাইন তৈরির কাজ শেষ না হয় তবে আপাতত এলএনজি থেকে পাওয়া গ্যাস শুধু চট্টগ্রামে সরবরাহ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।