ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মেগা প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগ, কর্মপন্থা নির্ধারণ

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮
মেগা প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগ, কর্মপন্থা নির্ধারণ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে

চট্টগ্রাম: নগরের দুঃখ খ্যাত জলাবদ্ধতা নিরসনে শুরুতেই ১৬টি খাল পরিষ্কারের উদ্যোগ ও দুই প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পেক্ট্রা লিমিটেড এবং করিম গ্রুপ নামে এ দুই প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।  

প্রকল্প বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে সিইজিআইএস নামে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক হিসেবেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নেওয়া ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক মেগা প্রকল্পের কাজ শিগগিরই শুরু করতে চায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

ইতিমধ্যে ঠিকাদারী ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে কর্মপস্থা নির্ধারণে সিডিএ এবং সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সাথে বৈঠক অব্যাহত রয়েছে।

সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে স্পেক্ট্রা লিমিটেড ও করিম গ্রুপ নামে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

এরমধ্যে স্পেক্ট্রা লিমিটেড সিডিএর আউটার রিং-রোড প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে এবং অন্যটি করিম গ্রুপ। যেহেতু বর্ষা সমাসীন। সেই লক্ষে কর্মপন্থা নির্ধারণে নিয়োগকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে বৈঠক অব্যাহত রয়েছে। নগরের নির্ধারিত এলাকায় পানি নিষ্কাষণের সুবিধার্থে শুরুতেই ১৬টি খাল পরিষ্কার ও মাটি উত্তোলন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর প্রকল্প বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।   বর্ষার আগেই সেনাবাহিনী জোরেসোরে এসব খালের ময়লা ও মাটি অপসারণ করতে চায়। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার এ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে জানিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘বর্ষামৌসুমে নগরের বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। সেইসব এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে আগ্রাবাদের সিডিএ আবাসিক এলাকা, হালিশহর, চাকতাই, বকশিরহাট, দেওয়ানবাজার, খাতুনগঞ্জ, বৃহত্তর বাকলিয়া, চকবাজার ও চান্দগাঁওয়ের কিছু অংশ উল্লেখযোগ্য।  এসব এলাকায় কাজ শুরু হবে বলেও জানান আবদুচ ছালাম। ।

২০১৬ সালের ৯ আগস্ট একনেকে শর্তসাপেক্ষে এ জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এরই মধ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক)গভর্নমেন্ট অর্ডার (জিও) প্রদান করেছেন এবং জিও পাওয়ার পরপরই একনেক সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।

সিডিএ সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের আওতায় প্রথম দিকে ১৬টি খালের কাদা পরিষ্কার ও খননকাজ শুরু হবে। সেগুলো হলো চাক্তাই খাল, বির্জা খাল, রাজাখালী খাল–১, মির্জা খাল, রাজাখালী খাল–২, রাজাখালী খাল–৩, মরিয়মবিবি খাল, হিজরা খাল, মহেশখাল, কলাবাগিচা খাল, ডোমখাল, বামুনশাহী খাল (কোদালাকাটা খাল, কাটা খাল, সানাইয়া খাল, মধুছড়া খালও বামুনশাহী খালের অন্তর্ভুক্ত), চাক্তাই ডাইভারসন খাল (বাকলিয়া খাল নামেও পরিচিত), নোয়া খাল (বাইজ্জা খাল ও বালু খাল নামেও পরিচিত), খন্দকিয়া খাল ও নাছির খাল।

প্রকল্পে ৩৬টি খালের মাটি অপসারণ, নতুন ৮৫ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ, ১৭৬ কিলোমিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, ৪৮টি পিসি গার্ডার ব্রিজ প্রতিস্থাপন, বন্যার পানি সংরক্ষণে ৩টি জলাধার, ৬টি আরসিসি কালভার্ট প্রতিস্থাপন, ৫টি টাইডাল রেগুলেটর, ১২টি পাম্প হাউস স্থাপন, ৪২টি সিল্টট্রেপ স্থাপন, ২০০টি ক্রস ড্রেন কালভার্ট নির্মা, ১৫ দশমিক ৫০ কিলোমিটার রোড সাইড ড্রেনের সম্প্রসারণ, ২ হাজার বৈদ্যুতিক পুল স্থানান্তর, ৮৮০টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন এবং ৯২টি ইউটিলিটি লাইন স্থানান্তরের কথা রয়েছে।

২০২০ সালের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।