ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ‘স্মৃতি ৭১’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

চট্টগ্রাম: গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন অর্থনৈতিক মুক্তির দ্বারপ্রান্তে, তখন স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি নানাম‍ুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে ইতিহাসের সঠিক তথ্য নিয়ে ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

শনিবার (২১ এপ্রিল) সীতাকুণ্ডের কুমিরায় মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনীকে প্রথম প্রতিরোধ স্থানের স্মৃতি রক্ষার্থে জেলা পরিষদের উদ্যোগে নির্মিত ভাস্কর্য ‘স্মৃতি ৭১’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে উল্লেখ করে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম শহরের প্রবেশ পথে কুমিরাতে পাকবাহিনীর সাথে চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় এলাকার জনসাধারণের সম্মুখ প্রতিরোধ যুদ্ধ সংগঠিত হয়।

এই যুদ্ধে শতাধিক পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। পাশাপাশি বেশকিছু বাংলার মুজিব সেনা শহীদ হন।
তাদের স্মরণে এই স্মৃতি ৭১ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, বাঙালির হাজার বছরের পরাধীনতার ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই একমাত্র নেতা, যিনি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেন। রাজনৈতিক সংগ্রামের যৌক্তিক পরিণতিতে একটি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার স্বাধ দিতে পেরেছেন। কোন কিছু পাওয়ার আশায় মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেন নি; সমকালীন বিশ্বের অদ্বিতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশকে ভালোবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন বলেও মত অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম বলেন, চলতি অর্থবছরে জেলা পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রামের প্রত্যেক উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কার্যক্রমের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে একাধিক স্মৃতিসৌধের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে এবং কয়েকটির নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। সেই সোনার মানুষ হলো এই প্রজন্মের ছাত্রলীগ-যুবলীগ, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের আপামর সাধারণ জনগণ। তাদেরকে প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে। তাহলে তারা দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হবে। আর এই জন্যই মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিরক্ষার উদ্যোগ নিয়েছি। ’

এই স্মৃতিগুলো রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসারও আহবান জানান তিনি।

জেলা পরিষদের সচিব সাব্বির ইকবালের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার জহিরুল ইসলাম, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আলম মামুন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আলিমুল্লাহ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, জেলা পরিষদ সদস্য আ ম. দিলসাদ, জাফর আহমেদ, কুমিরা ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদ চৌধুরী।

পাক হানাদারদের প্রতিরোধ স্থানে প্রস্তুত ‘স্মৃতি ৭১’

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।