রোববার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নগরের সার্কিট হাউজে পাহাড়ধস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ও আগাম সতর্কতামূলক কার্যক্রম সম্পর্কিত কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জ্বল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।
পাহাড়ধসে আমরা আর একটিও মৃত্যু দেখতে চাই না উল্লেখ করে ত্রাণ সচিব মো. শাহ কামাল বলেন, ‘নগরসহ চট্টগ্রামে যে সব ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় রয়েছে, সেখানে থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বসতি উচ্ছেদ করতে হবে। সরতে না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে।
এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে প্রযোজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বলা চলে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সাধারণত জুন, জুলাই মাসে পাহাড়ধস হয়ে থাকে। এতে চট্টগ্রামে অনেক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। তাই আগে ভাগেই সচেতনতা বাড়াতে এবং পাহাড় থেকে বসতি উচ্ছেদে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনকে একযোগে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ হাতে নিতে হবে। ’
জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোহসীন, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদুল হাসান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, রাউজানের উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
যত প্রভাবশালী নেতাই হোক পাহাড় থেকে সরাতে হবে
পাহাড়ধস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে র্যালি
ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের খাদ থেকে ৫০ বসতঘর উচ্ছেদ
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
এসবি/টিসি