রোববার (২২ এপ্রিল) সকালে দেখা যায়, লালদীঘির মাঠকে ঘিরে আশপাশের এক বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে চলছে ভাসমান দোকান, স্টল তৈরির কাজ। ট্রাক, পিকআপ, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি, টেম্পুতে করে আনা হচ্ছে পণ্যসামগ্রী।
ঢাকার কেরানিগঞ্জ থেকে শিশুদের খেলনাসামগ্রী নিয়ে মেলায় এসেছেন আলী নেওয়াজ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বংশ পরম্পরায় আমি এ মেলায় আসি খেলনাসামগ্রী বিক্রির জন্য। সপ্তাহখানেকের জন্য আসা। দেরিতে আসলে সুবিধাজনক জায়গায় বসতে পারি না। তাই আগেভাগে চলে আসা।
মো. ফারুক মিয়া এসেছেন কুমিল্লা থেকে। তিনি বলেন, এবার আকাশের অবস্থা খুব একটা সুবিধার ঠেকছে না। হঠাৎ বৃষ্টি নামছে। বৃষ্টি হলে ত্রিপল, প্লাস্টিক রয়েছে জিনিসপত্র ঢেকে রাখার জন্য। কিন্তু ক্রেতারা আসবেন কম। যদি বৃষ্টি না হয় তবে সব জিনিস বিক্রি হয়ে যাবে আশাকরি।
ফুলের ঝাড়ু বিক্রেতা আবদুল কাদের বলেন, একসময় হাতপাখা বিক্রি করতাম মেলায়। বাঁশ, বেত, কাপড় থেকে শুরু করে তালপাতার হাতপাখা ছিল। এখন সেই দিন নেই। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। বেশ কয়েক বছর ধরে বলী খেলার মেলায় বেশি বিক্রি হচ্ছে ফুলের ঝাড়ু। পাহাড়ি ফুল সংগ্রহ করে এ ঝাড়ু তৈরি করা হয়। তাই আমিও এক ট্রাক ফুলের ঝাড়ু নিয়ে এসেছি।
আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল বাংলানিউজকে বলেন, জব্বারের বলী খেলা চট্টগ্রামের ঐতিহ্য। এখানে সারা দেশের ক্ষুদ্র-কুটির শিল্পসামগ্রী বিক্রেতারা পণ্যসামগ্রী নিয়ে আসেন। নিজেদের সুবিধামতো তারা স্টল দেন। চট্টগ্রামের গৃহস্থরা সংসারের টুকিটাকি জিনিসপত্র সংগ্রহ করেন এ মেলা থেকে। কমিটি কোনো বিক্রেতার কাছ থেকে ভাড়া বা চাঁদা নেয় না। এ ব্যাপারে মাইকে নিয়মিত ঘোষণা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
এআর/টিসি