জেলা পরিষদের অধীনে ‘স্মৃতি ৭১’ নামে এ স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। শনিবার (২১ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্মৃতিস্তম্ভের উদ্বোধন করা হবে।
‘স্মৃতি ৭১’ এ স্থান পেয়েছে বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, ছয়ষট্টির ছয়দফা, উনসত্তরের গণ-অভুত্থান, একাত্তর সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা এবং পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পন।
জেলা পরিষদের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে সংরক্ষণ করার লক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন।
জেলা পরিষদের সচিব সাব্বির ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সীতাকুণ্ডের কুমিরায় মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করেছিলো। এই প্রতিরোধের কারণে ছয়দিন চট্টগ্রাম অঞ্চল স্বাধীন ছিল। চট্টগ্রামে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধসহ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের গুরত্ব অনুধাবন করে স্মৃতি ৭১ নামে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডও কুমিরায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদকে অনুরোধ করেছিল। এরই ধারাবাহিকতায় পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় কুমিরায় স্মৃতি ৭১ নামে এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। ’
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন শনিবার (২১ এপ্রিল) এই স্মৃতিস্তম্ভের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৮
এসবি/টিসি