বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) বন্দর ভবনে চেয়ারম্যানের দফতরে বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি একথা জানান।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, অপারেশন্স সক্ষমতা বাড়াতে বন্দরে ডেলিভারি কার্যক্রম বে-টার্মিনাল এরিয়ার জমিতে স্থানান্তর করবো।
তিনি বলেন, আমরা আইএসপিএস কমপ্লায়েন্ট পোর্ট। ইউএস কোস্ট গার্ড চট্টগ্রাম বন্দরের সিকিউরিটি মনিটরিং করে। তাদের স্ট্যান্ডার্ড অনেক বেশি। তাই সিকিউরিটি ডেভেলপমেন্টে আমি গুরুত্ব দিচ্ছি।
আইটি ডেভেলপমেন্ট প্রসঙ্গে জুলফিকার আজিজ বলেন, ইতোমধ্যে কিছু কিছু জায়গায় আইটি অলরেডি এসেছে। সিটিএমএস, ভিটিএমআইএস, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ই-টেন্ডারিং, ই-নথি ইত্যাদি চালু আছে। প্রতিটি বিভাগ যাতে আইটির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে। কমিটি করে দিয়েছি। তারা কাজ করছে। বাজেট মনিটরিং সিস্টেম, কনট্রাক্ট মনিটরিং সিস্টেম, লেটার মনিটরিং সিস্টেম করা হবে। ম্যানুয়াল মিনিমাম করবো। আইটি সিস্টেম চালু হলে অটো অডিটিং ও প্রতিটি কাজে অ্যাকাউন্টিবেলিটিতে চলে আসবে। বিদেশি পোর্টের সঙ্গে বাংলাদেশের পোর্টের সঙ্গে সম্পর্ক। তারা যদি আইটিতে অনেক উঁচুতে উঠে যায় আমি পিছিয়ে পড়বো। কিন্তু পিছিয়ে পড়া যাবে না। তাই অবশ্যই আমাকে আইটি ডেভেলপ করতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার কনটেইনার হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করছি আমরা। ৫১টি আইটেমের মধ্যে তিনটি আইটেমের টেন্ডার পর্যায়ে এসেছে। বাকি আইটেম কিছু চলে আসছে, কিছু শিপমেন্টের পর্যায়ে আছে। আগস্ট মাসে ৬টি কি-গ্যান্ট্রি ক্রেন আসবে। তখন অপারেশন ২ লাখ টিইইউস (২০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনার) বেড়ে যাবে। তিনটার টেন্ডার বাকি, বাকি সব হয়ে গেছে।
‘২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা যাতে পূর্ণ হয় সেজন্য চট্টগ্রাম বন্দর সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমাদের শতভাগ কনফিডেন্স আছে। ২০২১ সালের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের প্রয়োজনীয় সক্ষমতা তৈরি হবে। ’
পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) নির্মাণকাজ সেনাবাহিনী শুরু করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, লালদিয়া টার্মিনালের জন্য পাঁচটি কোম্পানিকে শর্ট লিস্টে আনা হয়েছে। তাদের অফার নেওয়া হবে। এরপর কার্যাদেশ দেওয়া হবে।
‘এছাড়া মিরসরাই স্পেশাল ইকোনমিক জোনকে ঘিরে একটি পোর্ট তৈরি করা যায় কিনা ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে ডেনমার্কের একটি প্রতিষ্ঠান। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে তারা রিপোর্ট দিয়ে দেবে,’ বলেন বন্দর চেয়ারম্যান জুলফিকার আজিজ।
কর্ণফুলী ড্রেজিং প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্ণফুলী ড্রেজিং করবে নৌবাহিনী। ৪০ লাখ ঘনফুট ড্রেজিং হবে। এ মাসের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করবো। ইতোমধ্যে নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড দিয়েছি। প্রাথমিক কাজও শুরু করে দিয়েছে। পাইপ ও ড্রেজার নিয়ে আসা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে কাজ ধীরগতিতে চলবে। সাত-আট মাস লাগবে টার্গেট অনুযায়ী ড্রেজিং করতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
টিসি/