মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ফেনী থেকে আসা রোকসানা আকতার (২১) নামের এক মা’র নবজাতক কন্যাশিশুকে রেখে অপর একটি শিশুর মরদেহ দেওয়া হয়। পরে জানাজার জন্য গোসল করানোর সময় সবাই দেখতে পান সেটি ছেলে শিশু।
বুধবার (১৮ এপ্রিল) রাত পৌন আটটায় সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বাংলানিউজকে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সিভিল সার্জন বলেন, চাইল্ড কেয়ারের ঘটনাটি শুনেই চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য বলেছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) কমিটি গঠন করা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় রোকসানা আকতার ফিরে পাওয়া শিশুটিকে ভর্তি করান বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানে আইসিইউতে রয়েছে শিশুটি।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি আমিনুল হক বাবু গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, এটি অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছে চাইল্ড কেয়ার কর্তৃপক্ষ। কেয়ার লেস কাজ করেছে তারা। এর সঙ্গে সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত থাকতে পারে। সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যসেবার মান কোন তলানিতে পৌঁছেছে তা বোঝার জন্য এ ঘটনাই যথেষ্ট। টাকা দিয়েও ন্যূনতম সেবা মিলছে না। নবজাতক কন্যা শিশু বদলে মৃত শিশু দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশি হস্তক্ষেপে সেই শিশু উদ্ধার করতে হচ্ছে মাকে। এ ধরনের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। এর সঙ্গে কোনো পাচারকারী চক্র জড়িত রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা উচিত।
সেই মা'কে এবার জীবিত কন্যা দিল 'চাইল্ড কেয়ার'
নবজাতক বদলে মৃত শিশু দেওয়ার অভিযোগ!
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এআর/টিসি