বুধবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল তিনটার দিকে কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের লুধুরিপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শামীমা গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী।
শামীমার বড় ভাই শফিউল আলম জানান, গিয়াস কয়েক সপ্তাহ আগে টাকার জন্য মারধর করলে শামীমা বাপের বাড়িতে চলে আসে। মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) চাচাত ভাই শামীমাকে এক মাসের বাজারসহ গিয়াসের বাড়িতে এনে দেয়। এ সময় শামীমাকে ঘরে ঢুকতে দেননি গিয়াস। সন্ধ্যায় গিয়াসকে অনেক মিনতি করলে ঘরে ঢুকতে দেন।
বিয়ের পর থেকে গিয়াস যৌতুকের জন্য প্রায়সময় মারধর করতেন শামীমাকে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিস বৈঠকও হয়েছে। বোনের সুখ শান্তি কথা ভেবে গিয়াসের দাবি অনুযায়ী সম্প্রতি নগদ ৩০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
শামীমার শাশুড়ি ফরিদা বেগম জানান, মঙ্গলবার রাত একটার দিকে গিয়াসের শোরগোল শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে জানতে পারেন গিয়াস প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে তার স্ত্রী ঘরের দরজা লাগিয়ে দেন। পরে দা দিয়ে চাল কেটে গিয়াস ঘরে ঢুকে দেখে শামীমা গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে ঘরের ছাদ বিমের সঙ্গে ঝুলে আছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. করিম জানান, রাত একটার দিকে গিয়াস ফোনে বিষয়টি জানালে সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দিই।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম বলেন, ঘরের ছাদ বিমের সঙ্গে শাড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় শামীমার মরদেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছি। তবে ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৮
এআর/টিসি