ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘কারাবন্দি শিশুদের যে উচ্ছ্বাস দেখেছি সেটিই বড় পাওনা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
‘কারাবন্দি শিশুদের যে উচ্ছ্বাস দেখেছি সেটিই বড় পাওনা’ বক্তব্য দেন লায়ন্স জেলা গভর্নর মোহাম্মদ মনজুর আলম মঞ্জু । ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: কারাগারে মায়ের সঙ্গে থাকা নিষ্পাপ শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য লায়ন্স ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি কিডস জোন প্রতিষ্ঠা করেছি। উদ্বোধনের দিন সেই জোনে কারাবন্দি শিশুদের যে উচ্ছ্বাস দেখেছি সেটি আমার বড় পাওনা।

মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) জামালখানের সিনিয়রস ক্লাবে লায়ন্স জেলা ৩১৫ বি-৪ এর ২১তম বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা গভর্নর মোহাম্মদ মনজুর আলম মঞ্জু এ অনুভূতির কথা জানান।

বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায় এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে বের হবে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।

শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দুই দিনের বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। শনিবার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

মানসেবাই লায়নিজমের মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিশুদের জন্য আমরা’ ডাক দিয়ে ‘ওয়ান ক্লাব ওয়ান চাইল্ড’ ভিত্তিতে ৬০টি ক্লাবের পক্ষ থেকে এ বছর ৮০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। ৫০০ গরিব রোগীর বিনামূল্যে ছানি অপারেশন, পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষা ও চিকিৎসা করা হয়েছে। গত জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ১৮০ ক্যাম্পে ৩৬ হাজার রোগীর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের জন্য দুই দফায় ৩০ লাখ টাকার খাদ্য ও বস্ত্র দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সেবাবর্ষে ১০ হাজার রোগীর নীরব ঘাতক  ডায়াবেটিসের চিকিৎসা এবং ৫ হাজার শিশু-কিশোরকে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস স্ক্রিনিং করা হয়েছে। ৩ হাজার স্কুলব্যাগ ও ২ হাজার স্কুল ড্রেস দেওয়া হয়েছে। লায়নিজমের শতবর্ষে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম দৈনিক আজাদী এবং মা ও শিশু চিকিৎসার অগ্রপথিক ডা. এএসএম ফজলুল করিমকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়েছে।   

প্রেস কনফারেন্স কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াছের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রথম ভাইস জেলা গভর্নর নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, দ্বিতীয় ভাইস জেলা গভর্নর কামরুন মালেক, সাবেক গভর্নর শাহ আলম বাবুল, এমএ মালেক, রফিক আহমেদ, সিরাজুল হক আনসারী, কেবিনেট সেক্রেটারি জাফর উল্লাহ চৌধুরী, কেবিনেট ট্রেজারার জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, কনভেনশন কমিটির চেয়ারম্যান আল সাদাত দোভাষ, সেক্রেটারি লায়ন আবু মোরশেদ, ট্রেজারার জিকে লালা, প্রেস কনফারেন্স কমিটির সেক্রেটারি হাসান আকবর প্রমুখ।

১৯১৭ সালে আমেরিকার শিকাগো শহরে বিমা কর্মকর্তা মেলভিন জোনসের উদ্যোগে লায়ন্স ক্লাবের সূচনা হয়। বিশ্বের ২১০টি দেশে ৪৬ হাজার ২৬৩টি ক্লাব ৮৮৪টি লায়ন্স জেলার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। যার সদস্য সংখ্য ১৪ লাখের বেশি। চট্টগ্রামের এমআর সিদ্দিকী তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে লায়নিজমের সূচনা করেন।    

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।