কমিটির তৈরি করা তালিকা শতভাগ বিচার-বিশ্লেষণ করে এক মাসের মধ্যেই বদলি কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) চসিক সম্মেলন কক্ষে চারটি স্থায়ী কমিটির সভায় মেয়র এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, নারী ও শিশু উন্নয়নবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম আশরাফুল আলম, সমাজকল্যাণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর সলিম উল্লাহ বাচ্চু ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ ও বস্তি উন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম।
উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন, মাজহারুল ইসলাম, সালেহ আহমদ চৌধুরী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোরশেদ আকতার চৌধুরী, মো. আজম, আবিদা আজাদ, ফারহানা জাবেদ, ফারজানা পারভিন, লুৎফুন্নেসা দোভাষ বেবী, মনোয়ারা বেগম মণি, সদস্যসচিব নাজিয়া শিরিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্থপতি একেএম রেজাউল করিম, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, মঈনুল হোসেন আলী জয়, জাইকার সিনিয়র বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা সঞ্জিত কুমার দাশ প্রমুখ।
সভায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাকে দ্রুত আধুনিক ও যুগোপযোগী করা, চসিক পরিচালিত স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বদলির ব্যাপারে শতভাগ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, বদলিসংক্রান্ত বিষয়ে ‘যাচাই-বাছাই কমিটি’ গঠন, নগরীর কমিউনিটি সেন্টারগুলোর ডাটা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়।
মেয়র বলেন, প্রতিবছর আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ভর্তুকি দিয়ে চালাতে হচ্ছে। গত অর্থবছরে শিক্ষা খাতে প্রায় ৪৩ কোটি সাড়ে ৭৭ টাকা লাখ ভর্তুকি দিতে হয়েছে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও নগরবাসীর শিক্ষাসেবা আমাদের চালিয়ে যেতে হচ্ছে। নগরে যে পরিমাণ শিক্ষার্থীর চাপ রয়েছে চসিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা না করলে কী অবস্থা হতো তা চিন্তাও করা যায় না। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও চালাতে হবে আবার ভর্তুকিও কমানোর যথাসাধ্য উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সব এমপিওবিহীন শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চসিকের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে বদলির সিদ্ধান্তও হয়েছে। কারণ এমপিওবিহীন শিক্ষকেরা এমপিওভুক্ত হলে এবং পুরোনো নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে বদলি করা না হলে এমপিও নীতিমালার জন্য জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জয়েনিং প্লেসে বা যে প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এমপিওভুক্ত হয়েছেন সেখানে বদলি বা পদায়ন করতে হবে।
মেয়র বলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই কমিটি এমপিও শিক্ষকদের প্রাথমিক তালিকাভুক্তি বিচার-বিশ্লেষণ করবে। কারও ব্যাপারে কোনো ধরনের তথ্য-উপাত্তগত ত্রুটি-বিচ্যুতি বা অসামঞ্জস্যতা দেখা গেলে সেক্ষেত্রে প্রাথমিক তালিকাটি পুনর্মূল্যায়ন করে নতুন তালিকা তৈরি করা হবে।
বর্তমানে চসিক ৭টি ডিগ্রি কলেজ, ১৪টি উচ্চমাধ্যমিক কলেজ, ৪৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি ইংলিশ মিডিয়ামসহ ৭টি কিন্ডারগার্টেন, ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এআর/টিসি