আফজার চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চৌমুহনী এলাকার মো. নুর হোসেনের ছেলে। পরিবার নিয়ে তারা নগরের কোতোয়ালি থানার জামালখান ওয়ার্ডের পুরাতন বিমানঅফিস এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
র্যাব সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের রমজানে আফজারের সঙ্গে আতিক নামে একজনের পরিচয় হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক উগ্রবাদের দাওয়াত পায় আফজার। পরে আরও একজন ইয়াকুবের সঙ্গে উঠাবসা হয় তার। সেই থেকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসএ’র সমর্থক হয়ে যায় আফজারসহ অন্য ৬ জঙ্গি। হোয়াটস অ্যাপে তারা ‘ডিন ফোর্স এক্সট্রিম’ও ‘ইখোয়ান’ নামে দুইটি গ্রুপে সক্রিয় থেকে জিহাদি ভিডিও ও ছবি প্রচার করে নিজেদের কথিত জিহাদের জন্য প্রস্তুত করছিল।
চট্টগ্রাম জোনের র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিমতানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আফজার জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, ওই দুইজনের কাছ থেকে দাওয়াত পেয়ে আল কায়দার সমর্থক হয়ে যায়। পরে ‘ডিন ফোর্স এক্সট্রিম’ও ‘ইখোয়ান’ নামে দুটি গ্রুপে সক্রিয় থেকে জিহাদি ভিডিও প্রচার করে তারা। ’
তিনি আরও বলেন, ‘তার বাবা মো. নুর হোসেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ছিলেন এবং ২০০৫ সালে তাকে ওএসডি করা হয় বলে আফজার জানিয়েছে। ’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, জঙ্গি সন্দেহে আটক হওয়ার পর আফজারের খোঁজ নিচ্ছে তারা। তার বিরুদ্ধে অ্যাকাডেমিক ব্যবস্থার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ রকম একটা খবর আসার পর আমরা সত্যটা যাচাই করছি। যদি ঘটনা সত্যি হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) রাতে কোতোয়ালি থানার পুরাতন বিমান অফিসের পাশে আনন্দবাগ এলাকায় অভিযান চালিয় সাতজনকে জঙ্গি সন্দেহে আটক করে র্যাব-৭। তারা হলেন মো. মহিউদ্দিন তামিম (২৯), মো. আফজার হোসেন (২১), মো. ইমরান খান (২৭), মো. দাউদ নবী পলাশ (২৮), চৌধুরী মোহাম্মদ রিদওয়ান (২৭), এসএম জাওয়াদ জাফর (২৬) ও মো. মুনতাসিরুল মেহের (২৬)।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আল ইমরান খান এ সাতজনকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়েছিলেন। শুনানি শেষে আদালত দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
জেইউ/টিসি