সোমবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নগরের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে এ সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভায় তিনি এ উদ্বেগ জানান।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মা, প্রসূতি, ডাক্তার, সেবিকা, স্বাস্থ্যকর্মী, মাঠকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আলম, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ, সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম, সমাজসেবা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক নাজনিন কে চৌধুরী প্রমুখ। আইন, বিধি ও সাম্প্রতিক পরিস্থিতির ওপর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন বিবিএফের বিভাগীয় কর্মকর্তা গাজী মো. শাহীন।
গাজী মো. শাহীন বলেন, শুধু শিশুর জীবনরক্ষা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে অপরিহার্য বিবেচিত হলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর অধীন নিবন্ধিত মেডিকেল চিকিৎসক উপযুক্ত প্রমাণাদির ভিত্তিতে মাতৃদুগ্ধ বিকল্প খাদ্যের ব্যবস্থাপত্র দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে শিশুর জন্মের পর মায়ের দুধ খাওয়ার সংযোগ ও অবস্থান ঠিক করে দেওয়ার পরও ৭২ ঘণ্টা মায়ের দুধ খেতে না পাওয়া, শিশুর মা মারা গেলে বা অন্য মায়ের দুধ খাওয়ানো সম্ভব না হলে এ ব্যবস্থাপত্র দেওয়া যাবে। জন্মের এক ঘণ্টা পর শিশুকে শাল দুধ এবং ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধই খাওয়াতে হবে। ছয় মাসের পর মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি খাবার দিতে হবে। দুই বছর পর্যন্ত শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
তিনি বলেন, গুঁড়োদুধ, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে তৈরি শিশুর বাড়তি খাদ্য বা ব্যবহারের সরঞ্জামের কারণে কোনো শিশু অসুস্থ বা মারা গেলে কোম্পানিকে ১০ বছর কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। কোনো স্বাস্থ্যপেশাজীবী বা কোনো ব্যক্তি আইন লঙ্ঘন করলে তিন বছর কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, মাতৃদুগ্ধ বিকল্প ও শিশুখাদ্য আইন সম্পর্কে ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে পেশাজীবীদের সহযোগিতা দরকার। সুস্থ মেধাবী জাতি গঠন করতে হলে এ আইনের কঠোর প্রয়োগ জরুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
এআর/টিসি