বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকার কর্তৃক গঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তের নির্দেশনা অনুসারে মহানগরীসহ চট্টগ্রামের সকল উপজেলায় পাহাড়ের ওপর ও পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধ-ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৪ এপ্রিল পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসরতদের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চট্টগ্রাম ওয়াসা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর কর্তৃপক্ষকে পত্র পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধভাবে বসবাসরতদের উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করার জন্য নগরীর কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ জোবায়ের আহম্মেদ, পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউল হক মীর, সদর সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মনসুর, আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আকতার, বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবরিনা মুস্তাফা এবং চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাব্বির রহমান সানিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এডিসি মো. হাবিবুর রহমান আরও জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসরতদের নিরাপত্তার স্বার্থে অন্যত্র স্থানান্তর এবং ব্যক্তি মালিকানাধীন স্থাপনা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অপসারণ কাজ করবে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ধসে যাতে কোন দুর্ঘটনা না ঘটে, সেই বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করার আহবানও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
এসবি/টিসি