বুধবার (৪ এপ্রিল) নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে উৎসবের প্রস্তুতির কথা জানান পরিষদের নেতারা। এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সভাপতি, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, সাবেক শিক্ষক নুরুল মোস্তফা, অহিদুল ইসলাম, মো. মহিউদ্দিন, বর্তমান প্রধান শিক্ষক আবু ইউসুফ, প্রাক্তন ছাত্র রফিকুল আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নোমান চৌধুরী, একরাম হোসেন, কায়েস চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ কামরুল হাবিব, সৈয়দ রিফাত ফারুক, দস্তগীর আলম প্রমুখ।
মুজিবুর রহমান জানান, মীর ইয়াহিয়া খানের ওয়াকফা পরিচালিত মীর ইয়াহিয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি দক্ষ শিক্ষক তৈরির জন্য শতাব্দীর আগে এখানে নর্মাল স্কুল প্রতিষ্ঠিত ছিল।
তিনি বলেন, এ স্কুলের সাবেক ছাত্র নোবেল জয় করেছেন, একুশে পদক পেয়েছেন। অজস্র ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, গবেষক, শিল্পোদ্যোক্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী এ স্কুলের সাবেক ছাত্র। ২০০৫ সালে শতবর্ষপূর্তি উৎসব হয়েছে। ১১১ বছর পূর্তি করার জন্য তরুণদের কাছ থেকে বড় অনুষ্ঠান করার প্রস্তাব আসে। তাই দুই মাসের বেশি সময় প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অনুষ্ঠান চূড়ান্ত করেছি।
বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) ফানুশ ওড়ানো ও আল্পনা অংকন। শুক্র ও শনিবার জিইসি কনভেনশন সেন্টারে মূল অনুষ্ঠান হবে। উদ্বোধন করবেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। অনুষ্ঠানমালায় থাকবে আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ডদল ও প্রখ্যাত শিল্পী নচিকেতার পরিবেশনা। থাকবে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তি প্রেমসুন্দর বৈঞ্চবের পরিবেশনাও।
থাকবে শোভাযাত্রা কৃতীছাত্র সংবর্ধনা, ২০ মেধাবীকে এককালীন বৃত্তি, দরিদ্র তহবিল গঠন, স্মরণিকা প্রকাশ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৮
এআর/টিসি