মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বন্দর আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবালকে। আসামি করা হয়েছে হাজী ইকবালের ভাই মুরাদকেও।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিকাশ সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ‘যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় আওয়ামী লীগনেতা হাজী ইকবাল ও তার ভাইসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে তানভীর ও মুছা নামে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২৬ মার্চ) বিকেলে নগরীর সল্টগোলা ক্রসিংয়ের মেহের আফজাল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটি সভা চলাকালীন প্রধান শিক্ষকের রুমে ঢুকে যুবলীগকর্মী মো. মহিউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নগরীর দক্ষিণ-মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান মুরাদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাসানের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন নিহত মহিউদ্দিন। যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও কোন পদে নেই। তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভাসমাবেশে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতো মহিউদ্দিন।
একই এলাকায় তাদের বিরোধী গ্রুপে ছিলেন বন্দর আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইকবাল। যিনি ২০১৭ সালে জাতীয় শোক দিবসকে কেন্দ্র করে নগরীর চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে ‘হায় মুজিব হায় মুজিব’ মাতমে নিজের শরীর থেকে কথিত রক্ত ঝড়ানোর চেষ্টায় জিঞ্জির চাকু দিয়ে আঘাত করে শিয়াদের মতো মাতম করে আলোচনায় আসেন।
যুবলীগকর্মী মহিউদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হাজী ইকবালের বিরুদ্ধে প্রায় সময় স্ট্যাটাস দিতেন। এর দ্বন্দ্ব থেকেই মহিউদ্দিনকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ১
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৮
এসবি/টিসি