ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বছরে ১৫৫৩৫ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত চট্টগ্রামে, শিশু ৮০৫

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
বছরে ১৫৫৩৫ যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত চট্টগ্রামে, শিশু ৮০৫ টিআইসিতে যক্ষ্মা দিবসের আলোচনা সভা

চট্টগ্রাম: ২০১৭ সালে চট্রগ্রাম জেলায় যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫ হাজার ৫৩৫ জন। এর মধ্যে শিশু যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয় ৮০৫ জন।চিকিৎসাপ্রাপ্ত রোগীদের সাফল্যের হার ৯৫ শতাংশ। ওষুধ প্রতিরোধী যক্ষ্মা রোগী ছিল ৮১ জন।

শনিবার (২৪ মার্চ) বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসের আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. এএম মজিবুল হক এ তথ্য জানান।    

‘নেতৃত্ব চাই যক্ষ্মা নির্মূলে, ইতিহাস গড়ি সবাই মিলে’ স্লোগানে পরিচালক (স্বাস্থ্য) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়, সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো নানা আয়োজন করে দিবসটিকে ঘিরে।

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে শুরূ হয়ে নগরীর গুরূত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেয়ে থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে (টিআইসি) এসে শেষ হয় শোভাযাত্রা। ঘোড়ার গাড়ি, ব্যান্ডপার্টি, ব্যানার, ফেস্টুন ছিল শোভাযাত্রায়।

টিআইসিতে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির চট্টগ্রাম বিভাগীয় টিবি এক্সপার্ট ডা. বিশাখা ঘোষ, নাটাব চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক এমএ সবুর, ব্র্যাকের চট্রগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সঞ্জয় কুমার পাল, নিষ্কৃতির প্রকল্প পরিচালক ডা. রেনুকা আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন চ্যালেঞ্জ টিবির বিভাগীয় সমন্বয়ক মো. নিজামুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন সিভিল সার্জন কার্যালয় চট্টগ্রামের এমওডিসি ডা. মো. নুরূল হায়দার।

ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয়টি যথার্থ, অর্থাৎ যক্ষ্মা নির্মূলে বলিষ্ঠ সক্রিয় নেতৃত্বের বিকল্প নেই। তাই যক্ষ্মা নির্মূলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

মূল প্রবন্ধে বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. কৃষ্ণ স্বরূপ দত্ত যক্ষ্মা দিবসের উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন এবং চট্টগ্রাম জেলার যক্ষ্মা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্যাদি উপস্থাপন করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮     

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।