ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পদ হারালেন চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি আজম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
পদ হারালেন চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি আজম নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন আজম

চট্টগ্রাম: সরকারি দলের সঙ্গে যোগসাজশ ও দলীয় শৃ্ঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নগরীর চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি মো.আজমকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর মোহরা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজমকে গত ১৮ মার্চ কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

শনিবার (২৪ মার্চ) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিস্কারের কথা জানানো হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ মার্চ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন আজম। ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা তীব্র সমালোচনা করেন। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি অভিযোগ আকারে কেন্দ্রিয় নেতাদের কাছে যায়। এতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে ১৮ মার্চ কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বাংলানিউজকে বলেন, দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চান্দগাঁও থানার বিএনপির সভাপতি পদ থেকে মো. আজমকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়া দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।   

জানতে চাইলে মো.আজম বাংলানিউজকে বলেন, আমি এখনো চিঠি পাইনি। কি হয়েছে তাও জানি না।  

১৮ মার্চ দেওয়া শোকজ নোটিশে তিন দিনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, নয়পল্টন অফিসের মেইলে এবং ডাকযোগে আমরার বক্তব্য পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা পায়নি অভিযোগ করে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

কেন্দ্রের ঠিকানায় মেইল ও ডাকযোগে পাঠানোর পাশাপাশি বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করকেও দেওয়া হয়েছে।

চিঠি পাওয়ার ৪০ থেকে ৪২ ঘণ্টার মধ্যেই জবাব পাঠিয়েছেন দাবি করে আজম বলেন, এখন তারা যদি পায়নি বলে ব্যবস্থা নেয় আমি কি করতে পারি। দেখা যাক কি হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।