শনিবার (২৪ মার্চ) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিস্কারের কথা জানানো হয়। চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অনুলিপি দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ মার্চ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন আজম। ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বাংলানিউজকে বলেন, দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চান্দগাঁও থানার বিএনপির সভাপতি পদ থেকে মো. আজমকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়া দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে মো.আজম বাংলানিউজকে বলেন, আমি এখনো চিঠি পাইনি। কি হয়েছে তাও জানি না।
১৮ মার্চ দেওয়া শোকজ নোটিশে তিন দিনের মধ্যে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, নয়পল্টন অফিসের মেইলে এবং ডাকযোগে আমরার বক্তব্য পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা পায়নি অভিযোগ করে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।
কেন্দ্রের ঠিকানায় মেইল ও ডাকযোগে পাঠানোর পাশাপাশি বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করকেও দেওয়া হয়েছে।
চিঠি পাওয়ার ৪০ থেকে ৪২ ঘণ্টার মধ্যেই জবাব পাঠিয়েছেন দাবি করে আজম বলেন, এখন তারা যদি পায়নি বলে ব্যবস্থা নেয় আমি কি করতে পারি। দেখা যাক কি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৮
এমইউ/টিসি