ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রযুক্তি-বিজ্ঞান ও সাহিত্যকে ধারণ করে এগোতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
প্রযুক্তি-বিজ্ঞান ও সাহিত্যকে ধারণ করে এগোতে হবে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা

চট্টগ্রাম: বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়ে ই-লার্নিং গবেষক ড. বদরুল হুদা খান বলেছেন, প্রযুক্তি-বিজ্ঞান ও সাহিত্যকে ধারণ করে তরুণ প্রজন্মকে এগোতে হবে।  

জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম একাডেমির স্বাধীনতার বইমেলার দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (২৩ মার্চ) তিনি এ আহ্বান জানান।

বদরুল হুদা খান বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্বের গর্ব করার মতো একটি জায়গা।

এখানকার প্রকৃতির সঙ্গে সাহিত্য সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্য মিলেমিশে একাকার। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে মাস্টার দা’র নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছে।

ড. বদরুল হুদা খান শিক্ষাবিদ শবনম খানম শেরওয়ানী শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মালয়েশিয়ান হাইকমিশনার নুর আশেকিন মুহাম্মদ তৈয়ব। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষানুরাগী আহসানুল করিম। বক্তব্য দেন সাহিত্যিক ড. আনোয়ারা আলম, স্বাধীনতার বইমেলা পরিষদের মহাসচিব নেছার আহমদ ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর মিঞা, চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক জিন্নাহ চৌধুরী, কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাবেদ, লেখক নাজমাতুল আলম ও ড. সীমা খান। অনুষ্ঠানে ‘শবনম খানম শেরওয়ানী: একজন আদর্শ নারী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।  

বইমেলায় সকালে অনুষ্ঠিত হয় লেখক-পাঠক সম্মিলন। কবি ওমর কায়সারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মহাব্যবস্থাপক মনোজ সেনগুপ্ত। বক্তব্য দেন বর্ষীয়ান কবি অরুণ দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম লেডিস ক্লাবের সভাপতি খালেদা আউয়াল, গল্পকার বিপুল বড়ুয়া, শিশুসাহিত্যিক এমরান চৌধুরী, ছড়াকার উৎপলকান্তি বড়ুয়া, কেশব জিপসী, গল্পকার বিচিত্রা সেন, রমজান আলী মামুন, দিলীপ কুমার বড়ুয়া, গোফরান উদ্দিন টিটু, ফেরদৌস আরা রীনু, মিলন বনিক, শারুদ নিজাম, কোহিনূর আকতার, ইফতেখার মারুফ, ড. সৌরভ শাখাওয়াত, সনজিত দে, রুনা তাসমিনা, বাসুদেব খাস্তগীর, সৈয়দা সেলিমা আক্তার প্রমুখ।

বক্তব্য দেন ড. বদরুল হুদা খান

অনুষ্ঠানে নাসের রহমান, আবু তাহের মুহাম্মদ, মো. লোকমানুল আলমসহ ২৪ জন লেখকের বইয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরা হয়।

মনোজ সেনগুপ্ত বলেন, বইয়ের প্রচার-প্রসারে মিডিয়ার ভূমিকা অত্যধিক। সেই বিবেচনা থেকে দৈনিক পত্রিকাগুলোর সাহিত্য পাতার পাশাপাশি আমরাও বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে ‘বই পরিচিতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠান করে থাকি। এতে দর্শক-পাঠক বই সম্পর্কে একটা ধারণা পান। সমাজকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের আলোকিত সমাজ গড়ে তুলতে হবে। আর আলোকিত সমাজ গড়ার ক্ষেত্রে বইয়ের কোনো বিকল্প নেই। সবাইকে বইয়ের কাছেই যেতে হবে।

কবি ওমর কায়সার বলেন, চট্টগ্রামে সাহিত্যচর্চায় সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে একঝাঁক নতুন মুখ। তারা চেষ্টা করছেন অচলায়ন ভেঙে নতুন কিছু করার। নতুন কিছু করা সাধনাসাপেক্ষ ব্যাপার। তবু আমি আশাবাদী।

শুক্রবার চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম একাডেমির পরিচালক দীপক বড়ুয়া ও শিল্পী মৃণালিনী চক্রবর্তী। সন্ধ্যায় দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেয় প্রমা, তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, উঠোন ও স্বরলিপি সাংস্কৃতিক ফোরাম।

তরুণরাই পারে অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়তে

স্বাধীনতার বইমেলা শুরু হচ্ছে শিল্পকলায়

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।