নতুন করে বাজারে এসেই গত সপ্তাহে ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ ও তিতকরলা ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু এ সপ্তাহে যথাক্রমে ৪৫, ৩০ ও ৫০ টাকায় হচ্ছে।
গত সপ্তাহে তেলাপিয়া কেজিতে ১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৬০-১৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ মার্চ) সকালে নগরীর কাজীর দেউড়ি ও চকবাজারে দেখা যায় এ চিত্র।
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারদরের এ ছলনামীয় স্বভাব বিক্রেতাদের। তারা সুবিধামতো বাড়ায় আর কমায়। বিষয়টি এ রকম, একটি দোকানে যে সবজিটি আছে সেটি যদি অন্য দোকানে না থাকে তাহলে সে ইচ্ছেমতো দর হাঁকায়।
এমনটি বলছিলেন, কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা নারায়ণ দেব চৌধুরী।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে পণ্যের দাম মূলত দোকানিরা বাড়ায়। দিন পার হলেই পণ্যের দাম বাড়া বা কমার বিষয়টি সম্ভব না। এটি দোকানিদের কারসাজি। দুই দিন আগে আমার স্ত্রী এ বাজার থেকে মুরগির কেজি ১৩০ টাকায় নিয়ে যায়। এখন ১৪৫! গত সপ্তাহে আমি কিনেছিলাম ১২৫ টাকায়। সবজি ও মাছের অবস্থাও একই। তাই বাড়ে, তাই কমে।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে মুরগির সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম বেড়ে গেছে।
চকবাজার কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী আব্দুস শুক্কুর বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহ থেকে মুরগির দাম বেড়েছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। তা-ই দাম বাড়ার কারণ।
অন্যান্য সবজির মধ্যে গাজরের কেজি ২০ টাকা, টমেটো ২০, শসা ৩০, মরিচ ২৫, শিমের বিচি ৬০, বাঁধাকপি ৩০, ফুলকপি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে দেশি মুরগির কেজি ৩৮০ টাকা, ছাগলের মাংস ৭৫০ ও গরুর মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
জেইউ/টিসি