ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রোগী ও মরদেহ পরিবহন নীতিমালা কার্যকর ২ এপ্রিল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮
রোগী ও মরদেহ পরিবহন নীতিমালা কার্যকর ২ এপ্রিল রোগী ও মরদেহ পরিবহন নীতিমালা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরীতে রোগী ও মরদেহ পরিবহনে যে নীতিমালা তৈরি হয়েছে তা আগামী ২ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।

পরিবহনের এ খাতে শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে দৈনিক আজাদীর উদ্যোগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, বিআরটিএ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ, অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির মতামতের ভিত্তিতে জনস্বার্থে নীতিমালাটি তৈরি করা হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) দুপুরে নগর ভবনের কেবি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও দৈনিক আজাদীর যৌথ উদ্যোগ সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ নীতিমালা ঘোষণা করেন।

এ সময় নীতিমালা প্রণয়ন কমিটি আহ্বায়ক চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জালাল উদ্দিন, কমিটির সদস্য দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক, চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, বিআরটিএ উপপরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র নীতিমালাটি প্রাথমিক ভাবে পাইলট হিসেবে তিন মাস চালু রাখার ঘোষণা দেন।

এরপর পুনঃমূল্যায়নের ভিত্তিতে এটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার দূরত্ব, রোগী ও মরদেহ পরিবহনের ভাড়া

নীতিমালার মধ্যে রয়েছে বৈধ মালিকদের গাড়ি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিবন্ধনের আওতায় আনা, চমেক হাসপাতালে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা, ফ্রিজার ভ্যান, এসি ও নন এসি অ্যাম্বুল্যান্স ক্যাটাগরিতে সিরিয়াল দেওয়া, সর্বোচ্চ পাঁচটি গাড়ি হাসপাতাল পার্কিংয়ে রাখা, গন্তব্যে ব্রিজ, ফ্লাইওভার ও সড়কের টোল গ্রাহকের পরিশোধ করা, শৃঙ্খলা ভাঙলে গাড়ির নিবন্ধন বাতিল করে কালো তালিকাভুক্ত করা, গ্রাহকের অভিযোগ জানানোর জন্য হেলপ লাইন চালু করা ইত্যাদি।

পাঁচ স্তরে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ৫ কিলোমিটারের (কিমি) মধ্যে (আসা-যাওয়া ১০ কিমি), ১০ কিমির মধ্যে, ১৫ কিমির মধ্যে, বিমানবন্দর যাওয়া-আসা ৪৫ কিমি এবং আন্তঃনগর।

নগরীতে আসা-যাওয়া মিলে ১০ কিমি নন এসি ছোট ও বড় অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া ৮০০ টাকা, এসি ও ফ্রিজার ভ্যান ৯০০ টাকা। ২০ কিমিতে নন এসি ছোট ও বড় ১ হাজার ২০০ টাকা, এসি ও ফ্রিজার ১ হাজার ৩০০ টাকা। ৩০ কিমিতে নন এসি ছোট ও বড় ১ হাজার ৮০০ টাকা, এসি ও ফ্রিজার ভ্যান ১ হাজার ৯০০ টাকা। বিমানবন্দর পর্যন্ত ৪৫ কিমিতে নন এসি ছোট ও বড় ২ হাজার ২০০ টাকা এবং এসি ও ফ্রিজার ভ্যান ২ হাজার ৫০০ টাকা।    

আন্তঃনগরে নন এসি ছোট গাড়ি (১৮০০ সিসির নিচে) ১ হাজার ৫০০ টাকা স্থির খরচের সঙ্গে প্রতি কিমিতে ১৪ টাকা। বড় গাড়ি (১৮০০ সিসি ও তার চেয়ে বেশি) ১ হাজার ৫০০ টাকা স্থির খরচের সঙ্গে প্রতি কিমিতে ১৭ টাকা। এসি ও ফ্রিজার ভ্যান ১ হাজার ৫০০ টাকা স্থির খরচের সঙ্গে প্রতি কিমিতে ১৯ টাকা। পাহাড়ি অঞ্চলে প্রতি কিমিতে ১০ শতাংশ বেশি। ফ্রিজার ভ্যানের ওয়েটিং চার্জ গন্তব্যে পৌঁছার পর প্রথম ঘণ্টা ফ্রি। এরপর গ্রাহকের বিদ্যুৎ ব্যবহারে প্রতি ঘণ্টায় ৩০০, পরিবহনের বিদ্যুৎ ব্যবহারে প্রতিঘণ্টা ৩৫০ টাকা। অক্সিজেনের জন্য নতুন সিলিন্ডার প্রতি ২২০ টাকা গ্রাহককে দিতে হবে।     

অ্যাম্বুল্যান্স-ফ্রিজার ৫ কিমি আসা-যাওয়া ৮০০ টাকা   

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮   

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।