ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বন্দরের স্ক্যানিং অপারেটরদের একযোগে পদত্যাগের হুমকি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮
বন্দরের স্ক্যানিং অপারেটরদের একযোগে পদত্যাগের হুমকি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সিস্টেম অপারেটর মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে কাস্টম হাউস পরিচালিত চারটি কনটেইনার স্ক্যানার  ও ১০টি রেডিয়েশন ডিটেকশন ইক্যুইপমেন্ট মেশিনের ৬০ জন অপারেটর ও কর্মী চাকরি নিয়মিত করার দাবি জানিয়েছেন। নয়তো তারা একযোগে পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

লিখিত বক্তব্যে সিস্টেম অপারেটর মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, দীর্ঘ নয় বছর ধরে মেশিনগুলোতে এসজিএসের পক্ষে আমরা কর্মরত আছি।

কাস্টম কর্তৃপক্ষ নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরবর্তী অপারেটর নিয়োগ করতে যাচ্ছে। যাতে বর্তমান অভিজ্ঞ জনবলকে নিয়োগের বাধ্যবাধকতা নেই।
কাস্টমস একটি পক্ষপাতমূলক টেন্ডারের মাধ্যমে নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে যেখানে প্রচুর অসংগতি রয়েছে।

তিনি বলেন, কাস্টম হাউসে চট্টগ্রামের কিছু স্বার্থান্বেষীমহল কোনো প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে নিয়োগ দিচ্ছে যাতে অসাধু ব্যক্তির স্বার্থ হাসিল হবে আর সরকারের গৌরবোজ্জ্বল ভাবমূর্তি প্রশ্নের সম্মুখীন হবে। আমরা ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেছি। যা বিচারাধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যে বিষয়ে উদ্বিগ্ন তা হলো রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয়ে আমাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য তৈরি করার পর আমাদের বাদ দিয়ে নতুন অনভিজ্ঞ লোকবল দিয়ে স্ক্যানিং মেশিনের মতো স্পর্শকাতর মেশিনগুলো পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আমাদের চাকরিচ্যুত করার দুরভিসন্ধি কাজ করছে।

তিনি বলেন, সিএইচএস-এসজিএস প্রজেক্টের চুক্তির আলোকে কর্মরত জনবলের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রণালয়ের চাহিদা অনুযায়ী সামঞ্জস্যপূর্ণ বিদ্যমান দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আত্মীকরণের মাধ্যমে স্ক্যানারের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভব। এতে দেশ ও জাতির নিরাপত্তায়, অসাধু ব্যবসায়ীদের কার্যকলাপ প্রতিহতকরণে, ঘোষণাবহির্ভূত মাদক, বিস্ফোরক, অস্ত্র চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের যোগ্যতা, মেধা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা দিয়ে স্ক্যানার কার্যক্রমকে আরও বেশি ফলপ্রসূ করতে সক্ষম হব। চলমান স্ক্যানার অপারেশন এক দিনের জন্যও বিঘ্নিত না করে ঝামেলাহীনভাবে এসজিএস থেকে কাস্টমসে হস্তান্তর করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি কাস্টমসের তত্ত্বাবধানে স্ক্যানার চালু থাকলে প্রকল্পের খরচ বাবদ দেশের প্রচুর অর্থ সাশ্রয় হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আমদানি পণ্য ও কনটেইনার স্ক্যানিং ও রেডিয়েশন পরীক্ষায় দক্ষতা অর্জনকারী কর্মীদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটানোর অনিশ্চয়তা দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মিজানুর রহমান চৌধুরী মিল্টন, বদরুল আহমদ সিদ্দিকী, সালাউদ্দিন আহমদ, জাহেদুল আলম, কাদের সোবহান, সোহেল রানা, আনোয়ার হোসেন, সুবীর মিত্র, অলীক দেওয়ান প্রমুখ।

আগামী ২২ এপ্রিল এসজিএসের সঙ্গে স্ক্যানার ও রেডিয়েশন শনাক্তের মেশিন পরিচালনায় কাস্টমসের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে বলে জানান তারা।      

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৮

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।