ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নদীর কাছে গিয়ে গবেষণা করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
নদীর কাছে গিয়ে গবেষণা করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান নদীর কাছে গিয়ে গবেষণা করুন: ইউজিসি চেয়ারম্যান

চট্টগ্রাম: পানি ও নদী বিষয়ে জানতে শুধু ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা না করে সরেজমিনে গিয়ে গবেষণা করে তথ্য নিতে বললেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান।

তিনি বলেন, নদী ও খাল পরিদর্শন করে সেসবের প্রকৃত অবস্থা সর্ম্পকে জানতে হবে। এরপর সরকারের কাছে এ সংক্রান্ত সমস্যা ও সমাধানে করণীয় সর্ম্পকে জোরালো দাবি তুলতে হবে।

বুধবার (২১ মার্চ ) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুর ও পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ আয়োজিত ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং ২০১৮’  শীর্ষক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আবদুল মান্নান বলেন, বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন কখনো যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাঁধে তবে সেটা পানি নিয়েই হবে।

বিশ্বব্যাপী পানির অবস্থা দিনদিন খারাপ হচ্ছে। সেজন্য আমরাই দায়ী। চট্টগ্রামের চাক্তাই খালে একসময় আকিয়াব বন্দর হতে পণ্যবাহী বড় বড় জাহাজ আসতো। সেই চাক্তাই খালের এখন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।

ভূমিদস্যুরা পানির বড় শত্রু উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদের পরিচয় কেবলই দখলবাজ। তারা যেখানে যা পায় তাই দখলে নিতে চায়। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলাদেশে পানি ব্যবস্থাপনার সম্মৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এখন সেটা পুনরুদ্ধারে আমাদের প্রকৌশলী সমাজ ও নীতি নির্ধারকমহলসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেক ভালো ভালো কাজ করে। কিন্তু এসব নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখলে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সেসব গবেষণা প্রবন্ধগুলো আপলোড করতে হবে। দুনিায়ার সবাই জানুক এখানে কী কী কাজ হচ্ছে। ’

বিশেষ অতিথি বক্তব্যে চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ভূ-তাত্তিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ পানি ও পানিসম্পদের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমানে দখল ও দূষণের কারণে আমাদের দেশের পানি ব্যবস্থাপনা মারাত্মক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।

‘এ ধরণের কনফারেন্স দেশের নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সমস্যা, সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাব্য করণীয় বেরিয়ে আসবে। এতে করে সরকারের কাছে পানি ব্যাবস্থাপনা বিষয়ক সমস্যাবলী তুলে ধরা সম্ভব হবে। একইসাথে পানি ও নদী রক্ষার দাবিও জোরালো  হবে’

 সভাপতিত্ব করেন পুর ও পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের প্রধান এবং কনফারেন্স চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার, পুরকৌশল কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহমান ভূঁইয়া, পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শ্যামল আচার্য, পুর ও পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের প্রভাষক এবং কনফারেন্স সেক্রেটারি  মো. সামিউন বাসির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

কনফারেন্সে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী নিয়ে ১১টি এবং হালদা নদী বিষয়ে ৪ টি বিশেষ প্রবন্ধ রয়েছে। দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সে পৃথক ৬ টি টেকনিক্যাল সেশনে মোট ৬৯ টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হবে। এতে দেশের ১৫ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৬টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট ১৭৪ জন শিক্ষক ও গবেষক অংশগ্রহণ করেন।

 কনফারেন্সের প্রথমদিন কী-নোট স্পীকার ছিলেন ঢাকাস্থ নেদারল্যান্ড দূতাবাসের পানি ব্যাপস্থাপনা বিষয়ক থিমাটিক এক্সপার্ট মি. পিটার ডি. ভ্রাইস।  

সময়:২০৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮

জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।