মঙ্গলবার (২০ মার্চ) চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি, কক্সবাজার) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অপর আসামীরা হলেন- টইটং ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নুরুচ্ছবি, গ্রাম পুলিশ সদস্য আজিজুর রহমান, কামাল হোসেন, রেজাউল করিম ও পেন্ডার পাড়া এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে নুর আহমদ।
সংবাদকর্মী ফারুক বলেন, গত ৩ মার্চ রাতে ইউনিয়নের পেন্ডার পাড়া এলাকায় এক বৃদ্ধাকে মারধর করে হত্যার সংবাদে সহকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এসময় নিহত পরিবারের সদস্যরা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের জবানবন্দি দেন। যা উপস্থিত সংবাদকর্মীরা রেকর্ড করেন। এতে তারা স্পষ্ট ঘোষণা করেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদের নির্দেশে গ্রামপুলিশ সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। কিন্তু নিহতের পরিবার এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ না করে মরদেহ দাফন করেন। নিহতের পরিবারের বক্তব্য সহকারে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদ তার পরিষদের দফাদারকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা করান।
তিনি আরও বলেন, এরই জেরে গত ১৯ মার্চ দুপুরে পেকুয়া চৌমুহনীর একটি হোটেলে আমাকে হত্যার হুমকি দেন দফাদার নুরুচ্ছবি।
এ ব্যাপারে টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ফারুক আমার ছোট ভাই। আমি তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না। তবে আমার বোধগম্য নয় যে বৃদ্ধা অসুস্থতাজনিত কারণে মারা গেছেন। তার আত্মীয়-স্বজন না হয়েও কেন ফারুক আমার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করলো।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
টিটি/আরআর