পরে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা ও যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারপত্রর বিলির মাধ্যমে প্রথমদিনের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। চট্টগ্রা বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের (ডিআরএম) আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন জিএম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিএম বলেন, যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। রেলকে আলাদা মন্ত্রণালয় করার সেবাখাতে অনেক উন্নতি হয়েছে।
যাত্রীদের কোন অভিযোগ থাকলে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় এই সেবা খাতকে জনগণের আরও কাছে নিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে তৎপর থাকতে হবে।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ কমান্ডেন্ট ইকবাল আহমেদ, সিএমই মিজানুর রহমান, ডিআরএম জাহাঙ্গীর চৌধুরী, ডিসিও মিজানুর রহমান, ডেপুটি সিসিএম জাকির হোসেন, ডিটিও ফিরোজ ইফতেখার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরিবহন খাতে দেশের সবচেয়ে বড় সংস্থা বাংলাদেশ রেলওয়ের বিশেষ সেবা সপ্তাহ চলবে মঙ্গলবার থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। এ ৬ দিন নানা কর্মসুচি হাতে নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, রেলের সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে সকল আন্তঃনগর, মেইল ও লোকাল ট্রেনের কোচের ভেতরের আসন ও পর্দা পরিস্কার, ফ্যান সচল, টয়লেট পরিচ্ছন্ন রাখা হবে। স্টেশন এপ্রোচ রোড, প্ল্যাটফর্ম পরিচ্ছন্ন ও হকারমুক্ত রাখা, যেসব স্টেশনে সুপেয় পানির ব্যবস্থা আছে সেখানে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, সকল ট্রেন টাইমটেবল অনুযায়ী পরিচালনা, রাতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ছাদে ওঠা প্রতিরোধ, বিশ্রামাগারের আসবাব পরিস্কার, বাতি, ফ্যান, এসি চালু রাখা, যাত্রীদের দ্রুত টিকেট প্রাপ্তি নিশ্চিত করা এবং কালোবাজারি রোধসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ যাত্রীদের জন্য হুইল চেয়ার, ট্রলি নিশ্চিত করা, যাত্রীদের যে কোন অভিযোগ গার্ড, স্টেশন মাস্টার ও সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্স তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
এমইউ/টিসি