ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গ্রেফতার এড়াতে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে তবুও হয়নি শেষ রক্ষা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
গ্রেফতার এড়াতে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে তবুও হয়নি শেষ রক্ষা প্রদীপ চৌধুরী ওরফে আল আমীন

চট্টগ্রাম: নগরীর বাকলিয়া থানার কালামিয়া বাজার এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন মো. আলাউদ্দিন (১৬) নামে এক কিশোর। ২০১৪ সালের ৩ মার্চ সংঘঠিত ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি প্রদীপ চৌধুরী।

গ্রেফতার এড়াতে ধর্মান্তরিত হয়ে প্রদীপ হলেন আল আমীন। বিয়ে করলেন তানিয়া বেগমকে।

ঢাকায় গিয়ে মুদির দোকানে চাকরি করে ভালই চলছিল আল আমীন ওরফে প্রদীপের সংসার। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না তার।
 

গত রোববার (১৮ মার্চ) রাতে ঢাকার বাড্ডা থানার মধ্য বাড্ডা ভূঁইয়া বাড়ি এলাকায় একটি মুদি দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা।

পিবিআই পরিদর্শক (চট্টগ্রাম মেট্রো) সন্তোষ কুমার চাকমা বাংলানিউজকে জানান, গ্রেফতার এড়াতে ধর্মান্তরিত হয়ে তানিয়া বেগমকে বিয়ে করে আত্মগোপনে যান আল আমীন ওরফে প্রদীপ চৌধুরী। ঢাকায় একটি মুদি দোকানে চাকরি নেন তিনি। বাকলিয়া থানা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশ চার বছর চেষ্টা করে প্রদীপের অবস্থান সনাক্ত করতে পারেনি। কিন্তু প্রযুক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পিবিআই।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৩ মার্চের ঘটনায় আলাউদ্দিনের মা আলেয়া বেগম বাদি হয়ে নগরীর বাকলিয়া থানায় ৩ এপ্রিল মামলা দায়ের করেন।   মামলাটি প্রথমে বাকলিয়া থানা ও পরে নগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে ২ জন আসামির নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পলাতক আসামি প্রদীপকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন।

চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি চট্টগ্রাম এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো.শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া গোয়েন্দা পুলিশের দাখিল করা চার্জশিট পর্যালোচনা করে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তার মাধ্যমে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নিদের্শ দেন।

সন্তোষ কুমার জানান, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পিবিআই পরিদর্শক জাহিদ হোসেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পান। তিনি পলাতক আসামির স্থায়ী ঠিকানায় যান। সেখানে কোন তথ্য না পেয়ে স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়ির তথ্য সংগ্রহ করেন। এরই মধ্যে তারা ভাড়া বাসা ছেড়ে সপরিবার পালিয়ে যান এবং তাদের সবার মোবাইল বন্ধ করে দেন। প্রযুক্তির সহযোগিতায় তথ্য সংগ্রহ করে আল আমীনের অবস্থান সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারের পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকা এবং মামলা থেকে রেহাই পেতে ধর্ম পরিবর্তনের কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।