এ কথাগুলো এবার একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলামের। সোমবার (১৯ মার্চ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও অর্থনীতি পরিবার আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সিকান্দার খান।
আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, ড. ইরশাদ কামাল, চবি অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ঝুলন ধর, অধ্যক্ষ ফজলুল হক, অধ্যক্ষ আইয়ুব ভূঁইয়া, অধ্যাপক আ ন ম মঈনুল ইসলাম, রণজিৎ কুমার দে, ব্যবসায়ী নেতা সৈয়দ ছগীর আহমদ, ছড়াকার-সংগঠক আলেক্স আলীম প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য দেন খোরশেদ আলম কাদেরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন এটিএম কামরুদ্দিন চৌধুরী।
বর্তমানে বাংলাদেশ যে অবস্থানে পৌঁছেছে বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তা ১০ বছরেই সম্ভব হতো উল্লেখ করে ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ এখন বিদেশি সাহায্য ছাড়াই দাঁড়িয়েছে। তবে শ্রেণিবৈষম্য ও দুর্নীতি বেড়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুর্বল হয়ে গেছে নয়তো দুর্বল করে রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান থাকবে দুদককে যেন শক্তিশালী করা হয়।
তিনি বলেন, আমি নিরপেক্ষ নই। আমি জামায়াত-শিবিরের পক্ষে থাকার প্রশ্নই ওঠে না। আমি মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র ও এ দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে। যখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে হল করার পাঁয়তারা চলছিল আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। নানাভাবে আমার ওপর হুমকি এসেছিল। আমি পরোয়া করিনি। এখনো আমি পরোয়া করি না। মরতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এআর/টিসি