ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জনগণকেও জনসভায় নিয়ে আসতে হবে: নওফেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
জনগণকেও জনসভায় নিয়ে আসতে হবে: নওফেল প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে মহানগর ছাত্রলীগের শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

চট্টগ্রাম: বুধবার (২১ মার্চ) পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় শুধু নেতা-কর্মী নয়, জনগণকেও নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় জনগণকে নিয়ে আসতে হবে। এ জন্য সব নেতাকর্মীকে জনসম্পৃক্ত হয়ে সমাবেশে আসার প্রস্তুতি নিতে হবে।

সোমবার (১৯ মার্চ) বিকেলে নগরীর শহীদ মিনারের পাদদেশে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ছাত্রলীগ মহানগর শাখা আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধনকালে নওফেল এসব কথা বলেন।

মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সরকারের উন্নয়নের চিত্র জনগণের সামনে উপস্থাপন করার জন্যই জননেত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়াতে জনসভা করতে আসছেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুর্নীতিতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গুত্ববরণ করেছিল। সেই মৃতপ্রায় অর্থনীতিকে বিগত নয় বছরে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে পুনর্গঠন করেছে শেখ হাসিনার সরকার। একদিকে বিএনপি জামায়াতের গণবিরোধী মানুষ হত্যার রাজনীতির বিপরীতে শেখ হাসিনা নিজহাতে দেশবাসীকে আলোর পথ দেখিয়ে চলেছেন। এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশে মঙ্গা দূর হয়েছে। মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে গড় মাথাপিছু আয় বেড়েছে। অশিক্ষায়, কুশিক্ষায় নিমজ্জিত একটা প্রজন্মকে সুশিক্ষার পথ দেখিয়েছেন। বাংলাদেশের নারীরা এখন আর নিজেকে পুরুষশাষিত দেশের নাগরিক মনে করে না। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বাংলাদেশ আজ গর্ব করার মতো অবস্থান সৃষ্টি করেছে।

প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা

শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ শেষে নগরীর লালদীঘির পাড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির পরিচালনায় ছাত্রলীগ নেতারা এ সময় বক্তৃতা করেন।

তারা বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিজহাতে তুলে নিয়েছিলেন। উন্নয়ন প্রস্তাবনার কোনো ফাইল আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর টেবিল থেকে ফেরত আসেনি। সরকারের গৃহীত চট্টগ্রামে মেগা প্রকল্পগুলো এসবের উদাহরণ।

এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ করে বলেন, নেত্রীর কাছে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা একটি দাবি করছি। পটিয়ার জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সরকারি অর্থায়নে চট্টগ্রামে নতুন স্কুল-কলেজ নির্মাণসহ বৃহৎ জনগোষ্ঠীর উচ্চশিক্ষার সুবিধার্থে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হোক।

শোভাযাত্রায় অংশ নেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশাদুল আলম বাচ্চু, মোহাম্মদ ইলিয়াস উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইয়াছিন আরাফাত কচি, রাজেশ বড়ুয়া, রাহুল বড়ুয়া, আমিনুল করিম, আব্দুর রহিম শামীম, নগর ছাত্রলীগ নেতা মইনুল হোসেন শিমুল, সৌমেন বড়ুয়া, জাকারিয়া দস্তগীর, গোলাম সামদানী জনি, রনি মির্জা, মো. খোরশেদ, আলম মানিক, আবু তারেক রনি, আবুল মনসুর টিটু, আবু হানিফ রিয়াদ, মিজানুর, রহমান মিযান, আবদুল আহাদ, মো. পারভেজ, মো. আজিজ, বিকাশ দাশ, শহিদুল ইসলাম শহীদ, রেজাউল করিম রিটন, কাজী নাঈম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।