সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনসভাকে ঘিরে পটিয়া ও চট্টগ্রামে কয়েকদিন ধরে কাজ করছি।
ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, মানুষের মনে উচ্ছ্বাস আছে। পরিকল্পনা করছি যাতে ১২টার দিকে নেতা-কর্মীরা মাঠে চলে যাবেন। শুধু জনসভার গাড়ি চলবে পটিয়ায়। কক্সবাজারের গাড়ি আনোয়ারা ঘুরে আসবে। লোকের যাতে কোনো ধরনের কষ্ট না হয় সেটি আমাদের মাথায় আছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের চাওয়ার কিছু নেই। চাওয়ার আগেই সব দিয়ে দিয়েছেন। বিশেষভাবে দক্ষিণ চট্টগ্রামে। টানেল হচ্ছে, এটি স্বপ্ন নয় বাস্তব। এখানে ইকোনমিক জোন হচ্ছে। মেরিন ড্রাইভ শুরু করব ইনশাআল্লাহ। রেললাইন কক্সবাজার হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত যাচ্ছে। বাঁশখালী দিয়ে কক্সবাজারের বিকল্প সড়ক হবে। শাহ আমানত সেতু পার হলেই চার লেনের কাজ হচ্ছে। মহানগরে যে ফ্লাইওভারগুলো হয়েছে সেগুলো দক্ষিণ চট্টগ্রামের জন্যই হয়েছে। এখানে স্টেডিয়ামও হবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই এটি হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভা। এর আগে আমার বাবা বেঁচে থাকতে কর্ণফুলী উপজেলায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ বাইপাসে গাড়ি থেকে নেমে মিছিলসহ কলেজের পূর্ব দিকের আনোয়ারা-পটিয়া সড়ক ধরে জনসভায় ঢুকে যাবে। উত্তর চট্টগ্রামের মানুষ আরেকটি গেট দিয়ে মাঠে ঢুকবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা ২০০১ সালে এ মাঠে জনসভা করেছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, জনসভার মাঠে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও সজিব ওয়াজেদ জয়ের ছবি ছাড়া আর কোনো নেতার ছবিযুক্ত ব্যানার, ফেস্টুন থাকবে না। স্লোগান হবে শুধু বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও জয়ের নামে। এর বাইরে কোনো নেতার নামে স্লোগান হবে না।
লোকসমাগম প্রসঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মহানগরে যারা থাকেন তারাও উত্তর ও দক্ষিণের। ব্যাপক প্রচারণা চলছে মহানগরে। মঙ্গলবার (২০ মার্চ) প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় বিশেষ করে ৪১ ওয়ার্ড ও তিনটি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে জনসভা সফল করতে মিছিল করব। প্রাইভেট গাড়ি, বাস, ট্রাক, নৌকায় মহানগর থেকে মানুষ জনসভায় অংশ নেবে।
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম বলেন, বিকেল থেকে যারা জনসভায় আসবেন শেষদিকে হয়তো মাঠে ঢুকতে পারবেন না। তারা যাতে ভাষণ শুনতে পান সে জন্য মাইক থাকবে সড়কে। এলইডি স্ক্রিন থাকবে প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য। এ ছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দুই শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে বিভিন্ন স্থানে।
তিন লাখের বেশি মানুষের সমাগম হবে পটিয়ার জনসভায়
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
এআর/টিসি