আগামী ২১ মার্চ পটিয়ায় একটি জনসভায় অংশ নিতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন তিনি সেখানে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন, বিগত ৯ বছরে পটিয়ায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনেক বড় বড় প্রকল্প দিয়েছেন। এখন আর চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। তবে পটিয়াবাসী প্রত্যাশা করছে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি (পটিয়াকে জেলা সদর) পুনর্বহাল করবেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে ঘাতকদের কাছে নিহত হওয়ার আগে যে জেলাগুলোর নাম ঘোষণা করেছিলেন তারমেধ্যে পটিয়াকে সদর করে দক্ষিণ চট্টগ্রামকে জেলা ঘোষণা করেন। তখন বাঁশখালীর বাসিন্দা জাকির হোসেনকে গভর্নর ঘোষণা করেছিলেন।
‘দুর্ভাগ্য পটিয়াবাসীর, দুর্ভাগ্য চট্টগ্রামবাসীর। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে ওই জেলাকে জিয়াউর রহমান এসে আবার মহকুমা বানিয়ে দিলেন। এরশাদ সরকার এসে উপজেলা করলেন। যদিও তিনি জেলা ঘোষণা করতেই এসেছিলেন। কিন্তু দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা ঘোষণা করে চলে যান। ’
তিনি বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম তথা চট্টগ্রামের মানুষের মনে একটা আশা জেগেছে। তারা চায় বঙ্গবন্ধু ঘোষিত জেলাটি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পুনর্বহাল করবেন।
পাশাপাশি পটিয়ায় ৫১ বেডের হাসপাতালটি আড়াইশ বেডে উন্নীত, পটিয়ার জরাজীর্ণ মুন্সেফ কোর্টকে পূর্ণাঙ্গ জেলা জজ আদালত, পটিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে দুটি নতুন বাস, একটি আধুনিক স্টেডিয়াম, বর্তমান সরকারের আমলেই পিএবি সড়ক থেকে দোহাজারী পর্যন্ত চার লেন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলেও প্রত্যাশা করছে পটিয়ার মানুষ।
শামসুল হক বলেন, বৃটিশ আমলের দুটি উচ্চ বিদ্যালয়কে একত্রিত করে সরকারিকরণের দাবিও জনগণ জানিয়েছে। এসব প্রস্তাবনা আমি জনসভায় তুলে ধরবো। পটিয়াবাসী প্রত্যাশা করে তারা প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক সাড়া পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৩ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
এমইউ/টিসি