ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাহসী নেতাকর্মীরা টার্গেট কিলিংয়ের শিকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
সাহসী নেতাকর্মীরা টার্গেট কিলিংয়ের শিকার সাহসী নেতাকর্মীরা টার্গেট কিলিংয়ের শিকার

চট্টগ্রাম: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সাহসী নেতাকর্মীদের সরকার টার্গেট কিলিং করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রিয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সহসভাপতি জাকির হোসেন মিলনকে রিমান্ডে নিয়ে পাশবিক অত্যাচারের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। গত ৯ বছরে মিলনের মত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।

গুম ও খুনের শিকার হয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মী।

রোববার বিকেলে নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগর বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান।

নাজিম বলেন, কেবল ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে বিরোধী দল ও মতকে দমন করতে এ পর্যন্ত সারা দেশে ৭৮ হাজার মামলায় ১৮ লাখের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। তারপরও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অব্যাহত আছে।

নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ৩০ বছর ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। আজ তাকেও মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে একটি পরিত্যাক্ত কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, বেগম জিয়া চেয়েছিলেন দেশের মানুষকে আইনের শাসন, ভোটাধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার, কথা বলার স্বাধীনতা, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রাতষ্ঠা করতে। দেশের বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে প্রশাসনের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে বর্তমান অবৈধ সরকার হস্তক্ষেপ করেনি।

সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, সরকার দুদককে এখন বিরোধী দল দমনের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে আবারও প্রমাণ করলো তারা সরকারের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার হাতিয়ার।

বাংলাদেশ ব্যাংক লুট হলো, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেল। অথচ দুদক এক্ষেত্রে মামলা করা তো দুরে থাক এদের বিরুদ্ধে একটা শব্দও মুখ থেকে বের হয় না। যেভাবে নিম্ন আদালতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, সেখানে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা খুবই ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় সেটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে নগর বিএনপির সহসভাপতি মো. আলী, এস এম আবুল ফয়েজ, এম এ হান্নান, যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আবুল হাসেম, মনজুরুল আলম মনজু, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল আলম চৌধুরী মনজু, কামরুল ইসলাম, মহিলা দলের সভাপতি কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮

এমইউ/টিসি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।