অবশ্য গত ১ মার্চ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। দেশে কোন ব্যবসায়ীক সংগঠনের উদ্যোগে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ এটিই প্রথম।
কেবল বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য রোববারের বিশেষ সাধারণ সভা ডাকা হয় বলে জানিয়েছেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সভায় সদস্যদের সম্মতিক্রমে চেম্বারের নিজস্ব অর্থায়নে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের সাবেক পরিচালক ও সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দেশের একটি ট্রেডবডি ইকনোমিক জোন করতে যাচ্ছে। এটা ইতিবাচক।
ইকনোমিক জোন নির্মাণকে ঐতিহাসিক প্রকল্প উল্লেখ করে তিনি বলেন, চেম্বারের সদস্যদের সমর্থনে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের সেন্ট্রালাইজেশন পলিসির কারণে চট্টগ্রামের অনেক সম্ভাবনা থাকার পরও প্রকৃতি প্রদত্ত সুবিধার সঠিক ব্যবহার হয়নি। তবে বর্তমান সরকার দেশের মোট অবকাঠামো উন্নয়নের প্রায় ৪০ শতাংশ বৃহত্তর চট্টগ্রামে বাস্তবায়ন করছে। যা এ অঞ্চলকে আঞ্চলিক হাবে রূপান্তর করবে।
মিরসরাইয়ে দেশের বৃহত্তম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, কর্ণফুলী টানেল, মহেশখালীতে বিদ্যুৎ প্রকল্প, এলএনজি টার্মিনাল, গভীর সমুদ্র বন্দরসহ এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে উন্নত দেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকে দেশ এগিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করে এম এ লতিফ।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নির্মাণ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজন, কাস্টম অটোমেশন প্রজেক্ট ইত্যাদি অর্জনের মধ্য দিয়ে চিটাগাং চেম্বার প্রাইভেট সেক্টরের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে চেম্বার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে চট্টগ্রাম অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।
সভায় উপস্থিত চেম্বার সদস্যরা অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের লক্ষ্যে সরকারের কাছে রেয়াতি মূল্যে খাস জমি বরাদ্দের আহবান জানান এবং এ প্রকল্পে এসএমই সেক্টরকে প্রাধান্য দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
চম্বার চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম, সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক এ কে এম আক্তার হোসেন, কামাল মোস্তফা চৌধুরী, মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), এম এ মোতালেব, মঈনুদ্দিন আহমেদ, মো. জহুরুল আলম, মাহবুবুল হক চৌধুরী (বাবর), ছৈয়দ ছগীর আহমদ, অঞ্জন শেখর দাশ, মো. জাহেদুল হক, এস এম শামসুদ্দিন, মো. আবদুল মান্নান সোহেলসহ বিপুল সংখ্যক চেম্বার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আলোচ্য বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ ছালাম, সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, আফসার হাসান চৌধুরী (জসিম), এ কে খান অ্যান্ড কোম্পানির পরিচালক মুর্তজা রাফি খান, জিপিএইচ গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর আবু বকর সিদ্দিকী, মিডিয়া উপদেষ্টা ওসমান গণি চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
এমইউ/টিসি
