রোববার (১৮মার্চ) চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘বিদেশি এনজিওগুলো নিজেদের স্বার্থে রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সবার আগে আমাদের দেশকে প্রোটেক্ট করা সকলের দায়িত্ব।
সভায় জানানো হয়, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্প এলাকায় বর্তমানে ৪ হাজার ৮৫১ একর বনভূমি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। ক্যাম্পে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আরও ৫০ একর বাড়তি জায়গা প্রয়োজন হবে।
এছাড়াও আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢল, জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করতে ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিতে আরও বেশকিছু জমির প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে, এসব এলাকায় জীববৈচিত্রের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৯৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
সভায় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির উজ জামান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনসহ চট্টগ্রাম বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
এসবি/টিসি