দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী রোববার এ নোটিশ দেন। চিঠিতে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কারণ দর্শিয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে দলের মহাসচিব বরাবর চিঠি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৭ মার্চ) চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালামের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন আজম। ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে,‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি লিপ্ত থাকার প্রমাণ রয়েছে কেন্দ্রের কাছে। তাই আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। ’
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমাকে অবহিত করা হয়েছে। তিন দিনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে মো.আজম বাংলানিউজকে বলেন, আসলে আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে সিডিএ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। কাউন্সিলর হিসেবে আমি সব স্কুলের পরিচালনা কমিটির সদস্য তাই প্রধান শিক্ষক দাওয়া দিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালনের বিষয়টি আমি জানতাম না। দাওয়াত কার্ডে লেখা ছিল ষষ্ঠ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
তিনি বলেন,‘আমি যেহেতু একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত। সেহেতু অন্য কোন রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা নয়। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
এমইউ/টিসি