নগরীর রীমা কনভেনশন সেন্টারে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘যারা যেই কারণ ও উদ্দেশ্যে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো তাদের সেই কু-মতলব হাসিল হয়নি। তাঁর জীবন দর্শন ও স্বপ্ন বাঙালির অন্তরে আমুল প্রোথিত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধ দিয়েছিলেন উল্লেখ করে সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম. নাছির উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের স্থপতি নন, তিনি বিশ্বের শোষিত মানুষের মুক্তির প্রেরণা। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধ দিয়েছিলেন। তাঁর আকাঙ্খা ছিলো বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি। কিন্তু সেই সুযোগ তিনি পাননি। একাত্তরের পরাজিত শক্তি পরিকল্পিতভাবে ৭৫ এর ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে তাঁকে স্বপরিবারে হত্যা করে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়। স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিভিন্ন সময়ে তারা ভুলুণ্ঠিত করেছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশকে তিনি উন্নয়নের মহাসড়কে দাঁড় করিয়েছেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রোল মডেল।
বাঙালি জাতির হৃদয় থেকে কখনো বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা যাবে না বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
সমাবেশ শিশুদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অর্পিতা ঘোষ, তৌফিক আহমেদ, রায়ান আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত করে বিশেষ সঙ্গীত পরিবেশন করেন নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ শহীদুল আনোয়ার এবং কবিতা আবৃত্তি করেন নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল লতিফ টিপু।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ, উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক চৌধুরী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, দিদারুল আলম চৌধুরী, শহিদুল আলম, জহরলাল হাজারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে জন্মদিনের কেক কেটে শিশু কিশোর সমাবেশের উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ। এছাড়াও নগরীর দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়।
বাংলাদেশ সময় ২১৩৩ ঘন্টা, মার্চ, ১৭, ২০১৮
ইউকেডি/টিসি