ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১১ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট চলবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৮
১১ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট চলবে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির লোগো

চট্টগ্রাম: শিক্ষা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষক কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির আহবানে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে ২০ মার্চের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আল্টিমেটাম দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষণ করেছেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃত্তিতে শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি, চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দের যৌথ বিবৃতিতে শত প্রতিকূলতা ও সরকারের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পরও হাজারো শিক্ষক-কর্মচারী চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগদান করায় সর্বস্তরের শিক্ষক কর্মচারীদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে মহাসমাবেশের ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (১৭ মার্চ) জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাণের দাবি ১১ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট অব্যাহত রাখতে হবে। সারাদেশে মহাসমাবেশ অভিমুখী বাস ও লঞ্চ আটকিয়ে দিয়ে সমাবেশে আসার বাধা সৃষ্টি, সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে এবং ১৩ মার্চ শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আসাদুল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে আটক করে সমাবেশ বানচাল করার হীন চেষ্টা করা হয়।

সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দের দৃঢ়তার কারণে মহাসমাবেশে লক্ষাধিক শিক্ষক কর্মচারীর উপস্থিতি প্রমাণ করেছে বেসরকারি স্কুল, কলেজের ৯৮ ভাগ শিক্ষক কর্মচারী শিক্ষক কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি’র নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আস্থাশীল।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে দাবিসমূহ মেনে নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আহবান জানানো হয়। অন্যথায় ২০ মার্চের পর সংগ্রাম কমিটি আরো কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করে দাবি বাস্তবায়নে বাধ্য করা হবে।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা শিক্ষক সমিতির সৈয়দ লকিয়ত উল্লাহ ও অঞ্চল চৌধুরী, জেলা কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) এর অধ্যক্ষ দবির উদ্দিন খান ও অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অধ্যক্ষ আবুল মনসুর হাবিব ও অধ্যাপক তড়িৎ ভট্টাচার্য্য, শিক্ষক সমিতির (ফেডারেশন)আবদুল মান্নান ও নূর মোহাম্মদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (কামরুজ্জামান) অঞ্জন দাশ ও অধ্যক্ষ আবু তাহের, কারিগরি কলেজ শিক্ষক সমিতির অধ্যক্ষ শাহ মো. জিয়াউদ্দীন ও আবুল কাশেম এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ফেডারেশনের নুরুল ইসলাম ও আক্কাছ মিয়া প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ, ১৭, ২০১৮

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।