ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শিশুদের গান শুনে মুগ্ধ বিচারকরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮
শিশুদের গান শুনে মুগ্ধ বিচারকরা শিশুদের গান শুনে মুগ্ধ বিচারকরা। ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: ‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা কারও দানে পাওয়া নয়’ দেশাত্মবোধক গানটি যখন প্রথম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণতা পালের মুখ থেকে বের হলো বিচারকরা বিস্মিত। প্রতিযোগিতায় আসা বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মনোযোগও পূর্ণতার দিকে। ছোট্ট ওই মেয়েটির মুখে এমন সুরেলা কণ্ঠ! বিচারকরা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুনেই গেলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন স্কুল শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগী ছিল সে। ‘আমরা ক’জন মুজিব সেনা’র আয়োজনে শুক্রবার (১৬ মার্চ) চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে দুদিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

শুধু ফুলকি সহজপাঠ স্কুলের এ শিক্ষাথী নয়, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের অসাধারণ পরিবেশনা মুগ্ধ করেছে বিচারকদের।

দক্ষিণ কাট্টলী বাসন্তী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী প্রেমা পাল শোনাল ‘এই যে আমার মাতৃভূমি এই যে আমার দেশ’।

 পূর্ব মাদারবাড়ি সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী বৃষ্টি ভৌমিক মৌ গাইল ‘হায়রে আমার মন মাতানো দেশ। ’

এ রকম ২০০ বিদ্যালয়ের ৪০০ শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে।  

শিশুদের গান শুনে মুগ্ধ বিচারকরা।  ছবি: বাংলানিউজ

দেশাত্মবোধক গানের বিচারক সুজিত রায় বলেই ফেললেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছিল বাচ্চাদের গান হবে তাদের মতোই। মানে তাদের কণ্ঠ থাকবে বাচ্চাদের মতো। কিন্তু এসব শিশুর বিচারকাজে অংশ নিয়ে সমস্যায় পড়লাম। সবাই যখন চমৎকার গান পরিবেশন করছে, তখন কাকে সেরা বলব?’

আরেক বিচারক স্বপন বড়ুয়া বলেন, ‘যুগে যুগেই গানের চর্চা হয়েছে। বাংলা গান বিশ্বদরবারেও বেশ প্রশংসিত। এখন সর্বস্তরের মানুষ গান শেখে, কথার অর্থ বোঝে। শিশুদের কণ্ঠে গান শুনে আমি মুগ্ধ। তাদের পরিবেশনাও ছিল চমৎকার। ’

পূর্ণতা পাল বাংলানিউজকে জানায়, বাবা মা-ই তার সব। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় গান চর্চা করা হয় বাসায়। সেখান থেকে তার গান শেখা।

এর আগে সকাল নয়টায় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের মনের বিকাশে এ ধরনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার প্রয়োজন আছে। সমাজে নানা অসংগতির কারণ ছোটকাল থেকে সাংস্কৃতিক চর্চা না করা। আয়োজকদের এ ধরনের অনুষ্ঠ‍ান ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। ’

আমরা ক’জন মুজিব সেনার চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি সরফরাজ নেওয়াজ খান রবিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বোখারী আজমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেক সোলেমান সেলিম, সাবেক ছাত্রনেতা শফিউল আজম, শাহাব উদ্দিন সজিব, নাজমুল আলম খান, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. শাহ আলম, সিটি কলেজ ছাত্রসংসদের জিএস নিয়াজ মোর্শেদ, সাবেক ছাত্রনেতা রায়হান রানা, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রসংসদের ক্রীড়া সম্পাদক কায়সার হামিদ, সিটি কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তানভির তারেক, ছাত্রলীগে নেতা লিটন কুমার শীল ও শহীদুল আলম টিপু।

উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা রফিক রাফি, মো. মহসিন, মো. ফারুক, নেজাম উদ্দিন, ফজলে রাব্বি সুমন, শরিফুল হক নয়ন প্রমুখ।  

শুক্রবার ও শনিবার (১৬ ও ১৭ মার্চ) দুই দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে অনলাইন নিউজপোর্ট‍াল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮

জেইউ/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।