ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত-চীনের সমালোচনায় মওদুদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত-চীনের সমালোচনায় মওদুদ রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত-চীনের সমালোচনায় মওদুদ

চট্টগ্রাম: রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রতিবেশি দেশ ভারত-চীন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়নি অভিযোগ করে বর্তমান সরকারের ও প্রতিবেশি দুই দেশের সমালোচনা করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর নুর আহম্মদ সড়কে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় তিনি বলেন, সরকারের ভুল পররাষ্ট্রনীতির কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। বিপদের সময় পাশে থাকার আশায় ভারত-চীনকে সবকিছু দিয়ে দিলেও দেশের বিপদে তারা পাশে দাঁড়ায়নি।

‘ছোটকালে পড়েছিলাম বিপদে বন্ধুর পরিচয়। কিন্তু এখন বিপদের সময় হঠাৎ দেখতে পাচ্ছি যাদের আমরা বন্ধু বলি সেই ভারত-চীন আজকে আমাদের সহযোগিতা করতে রাজি নন।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিবেশি দেশের সমর্থন পাবেন বলে অনেক কিছু করে গেছেন। কিন্তু তারা আমাদের বিপদের সময় পাশে দাঁড়ালো না। ভুল পররাষ্ট্র নীতির কারণে ১০ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে। তারা আমাদের জন্য বোঝা।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করতে না পারায় দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায় দাবি করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান এ সরকার করতে পারবে না। তাই দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আসবে।

‘এখানে ১০ লাখ রোহিঙ্গা। তারা বিদেশি নাগরিক। মায়ানমারের নাগরিক। তাদের অবস্থানের কারণে রাজনৈতিক, সামাজিকসহ নানা ধরনের যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে তার চাপ সবার আগে পড়বে চট্টগ্রামের মানুষের উপর। এ সরকার যে নীতি গ্রহণ করেছে তা ভুল নীতি। আমরা চাই অবিলম্বে জাতি সংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে মায়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে দিতে। প্রত্যেক রোহিঙ্গা নাগরিককে তাদের দেশে ফিরে যেতে হবে। ’ 

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন:

বিএনপির সামনে তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করা আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ। পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ হলে সেই নির্বাচনের মাধ্যমে সকল মানুষের ভোটের মাধ্যমে খালেদা জিয়া আবার সরকার গঠন করবে। আর যদি তারা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থায় রাজি না থাকে তাহলে আন্দোলন করতে হবে। সে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

কর্মীরা আরও শক্তিশালী হয়েছে:

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই কারাগারে রেখেছে। দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে তিন দিন সাধারণ কয়েদি করে রেখেছে। সরকার জনগণকে ভয় পায়, বিএনপিকে ভয় পায়। তাই তারা নির্বাচন দিতে চায় না।

খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে মনে করেছিল কর্মীরা দুর্বল হবে কিন্তু তারা আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। সাজা দেওয়ার পর তিনি সবার মা হয়েছেন। তাই চট্টগ্রামের এই জনসভা থেকে তাকে দেশমাতা উপাধিতে ভূষিত করতে চাই।

মির্জা আব্বাস বলেন, দেশে উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। অকারণে মানুষ হত্যা ও টাকা পাচারের বিচারের ভয়ে সরকার নির্বাচন দিতে চায় না। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়, দেশ রক্ষার আন্দোলন করছে।

খালেদা নয় কারাগারে গণতন্ত্র:

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে পারে না। আমরা গণতন্ত্রের পথে হাটছি, দেশের ১৬ কোটি মানুষ আমাদের সাথে আছে। সরকার চলছে একদলীয় স্বৈরতন্ত্রের পথে।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে নয়। কারাগারে গেছে দেশের গণতন্ত্র, মানুষের সাংবিধানিক, রাজনৈতিক, মানবাধিকার, আইনের শাসন আর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।