বারুণী স্নান উপলক্ষে সার্বজনীন মহাতীর্থ বারুণী স্নান উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত ধর্ম সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, আবহমানকাল থেকে ভাতৃত্ববোধে আবদ্ধ হয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় এদেশের মানুষ বসবাস করে আসছে।
৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মূল চেতনা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি উল্লেখ করে আ জ ম নাছির উদ্দীন আরও বলেন, জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী অশুভ শক্তিকে কঠোর হস্তে দমন করছেন। বর্তমান সরকার হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলকে সাথে নিয়ে এদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনেস্কো’র সদস্য মিলন কান্তি শর্মার উদ্বোধনে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক কাউন্সিলর মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, অধ্যাপক মো. ইসমাইল হোসেন, প্রকৌশলী হারাধন ভট্টাচার্য, সুমন দেবনাথ ও রুমকি সেনগুপ্ত।
বারুণী স্নান উদযাপন পরিষদের সভাপতি সদানন্দ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র শীল ঝন্টু। বক্তব্য রাখেন পরিষদের উপদেষ্টা বাবুল দেবনাথ, ডা. ননী গোপাল দাশ, সাবেক সভাপতি ও দক্ষিণ কাট্টলী মহাশ্মশান পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র ধর, কালীপদ সরকার, অলক নাথ চৌধুরী, সুজিত কুমার দাশ, বাবুল কান্তি নাথ, অনিল কান্তি নাথ, ডা. বিজন কান্তি নাথ, লক্ষীপদ দাশ, মিলন কান্তি দাশ, উদয়ন কান্তি নাথ, সুকান্ত ধর, লিটন দাশ প্রমুখ।
ধর্মসম্মেলনে বক্তারা বলেন, জীবের মহামুক্তির লক্ষ্যে এই পূণ্যস্নান। এই স্নানে এসে ঋষি-সন্ন্যাসীদের সান্নিধ্য পাওয়া যায়। এখানে নানান শ্রেণি ও পেশার মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ থাকে। বৈষ্ণব মতানুসারে, ব্রহ্মা তাঁর কমণ্ডুলুর জল নিয়ে বিষ্ণুর পা ধুয়ে দিয়েছিলেন। সেই থেকে গঙ্গার জন্ম হয়। আর গঙ্গার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রতিবছর মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূণ্যস্নানে মিলিত হয়।
এছাড়াও রাণী রাসমণি ঘাটে আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল-গঙ্গাপূজা, বৈষ্ণবসেবা, ঋষি সমাবেশ, শ্রীমদ্ভগবত গীতাপাঠ, ধর্ম সম্মেলন ও প্রসাদ বিতরণ।
ঐতিহ্যবাহী এ বারুণী স্নানে দূর-দূরান্ত থেকে ঋষি, মহারাজ, বৈষ্ণব, সাধু-সন্নাসীরা স্নান উৎসবে যোগ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
এসবি/টিসি