ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এসডিজির লক্ষ্য পূরণে অর্থায়নের বিষয় গুরুত্বপূর্ণ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮
এসডিজির লক্ষ্য পূরণে অর্থায়নের বিষয় গুরুত্বপূর্ণ চবিতে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অর্থের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

তিনি বলেন, এ জন্য অর্থের জোগান দিতে সহযোগী দেশ ও উন্নয়ন সংস্থার কার্যক্রম বাড়ানোর দরকার। পাশাপাশি আঞ্চলিক বাণিজ্য জোটগুলোকে তৎপর হতে হবে যেখানে ব্যক্তি বিনিয়োগকে গুরুত্ব দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসনে মিলনায়তনে  'টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে লক্ষ্যে ফিন্যান্স' এ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গত তিন বছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি আমরা।

এ বছরের মধ্যে তা সাড়ে ৭ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। তবে এ প্রবৃদ্ধি দিয়ে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব নয়। দারিদ্র্য দূর করতে হলে অবশ্যই ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।

‘এসডিজির সব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিপুল টাকার প্রয়োজন। যেটি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য বাণিজ্য জোট ও উন্নয়ন সহযোগী দেশ এবং সংস্থাকে তৎপর হতে হবে। তবে আগের চেয়ে প্রতিটি দেশে বৈশ্বিক সহায়তার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। ’ বলেন অর্থমন্ত্রী।

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। যদিও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের বছর হিসেবে ২০৩০ নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যেই দারিদ্র্য দূর করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে পারবে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা যেসব সম্পদ পেয়েছি, তার চেয়ে বেশি সম্পদ আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে হবে। রাষ্ট্রের জনকল্যাণ ও উন্নয়নমূলক কাজগুলো বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। যেন কোনো গোষ্ঠীই পিছিয়ে থাকতে না পারে। প্রত্যেক মানুষই এ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে এর সুবিধা ভোগ করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সম্মেলনে দেশ-বিদেশের ৯৫ গবেষকদের ৬১টি গবেষণাপত্র উপস্থাপিত হয়।

২৫ বছর পূর্তি ও রজন্তজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। সভাপতিত্ব করেন চবি ফিন্যান্স বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান।

মূল পর্বে কি-নোট স্পিকার ছিলেন ভারতের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. উদিত কুমার রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রফেসর ড. বাকী খলিলী ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম মহিউদ্দিন।

রজতজয়ন্তীর দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (১৬ মার্চ) দিনব্যাপী 'গ্রান্ড গালা গেট টুগেদারের' আয়োজন করা হয়েছে। ওই দিন সকালে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করবেন বিভাগের সাবেক-বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি দিনব্যাপী স্মৃতিচারণ ও রক্তদান কর্মসূচি থাকছে। এ ছাড়া বিকেলে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থাকবে ব্যান্ডদল সোলসের পরিবেশনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৮

জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।