ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও জয় ছাড়া আর কারও ছবি নয়

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও জয় ছাড়া আর কারও ছবি নয়  বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও জয়ের ছবি ছাড়া প্রচারণা নয়, ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজ

পটিয়া থেকে: জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয় ছাড়া অন্য কোনো নেতার ছবি জনসভার প্রচারণার পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন না ছাপানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম।

বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুরে পটিয়া ইন্দ্রপুলের হল টুডে কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন শামীম। আগামী ২১ মার্চ পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে এ সভার আয়োজন করা হয়।

একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, ২১ মার্চ জনসভা সফল করা আপনাদের দায়িত্ব। আমারও দায়িত্ব।

পটিয়ার মাটি আওয়ামী লীগের উর্বর ভূমি। আমরা সুশৃঙ্খল জনসভা করতে চাই। জনসভায় যাতে মানুষ সুন্দরভাবে ঢুকতে ও বের হতে পারেন সে ব্যবস্থা করতে হবে। পোস্টার ব্যানারে শুধু নেতার নাম দিতে পারেন।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। বক্তব্য দেন পটিয়ার সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান চৌধুরী শেখর, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুণ লুবনা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার রোটন, সহ-সম্পাদক সালাউদ্দিন মাহমুদ, বদরুল আলম, জুবাইদা গুলশান আরা, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

শামসুল হক চৌধুরী এমপি বলেন, নেতারা এসেছেন নির্দেশ দেওয়ার জন্য। আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। জনসভার দিন রিকশা চলবে না। দোকান খুলবে না। ১১টায় সবাই মিলে পটিয়াকে জনসমুদ্রে পরিণত করব। পাঁচটা পর্যন্ত মাঠ ছাড়ব না।

মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি জানি পটিয়া আওয়ামী লীগের আদর্শের প্রশ্নে আপসহীন, ঐক্যবদ্ধ। ২১ মার্চ আপনারা ঐক্যের শক্তি প্রদশর্ন করবেন। আপনারা কোনো নেতাকর্মীর নামে নয়, স্লোগান দেবেন শেখ হাসিনার নামে।

মফিজুর রহমান বলেন, এ জনসভা সফল হলে সবচেয়ে বেশি সুনাম হবে পটিয়ার। তারপর দক্ষিণ জেলা ও চট্টগ্রামের। তাই আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী শেখর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় মানুষের ঢল নামছে। এর মধ্যে আবার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী। আশাকরি পটিয়ার জনসভায়ও মানুষের ঢল নামবে। আপনারা দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছে দিতে হবে ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী আসছেন।

তিনি বলেন, এ জনপদে একটি অপশক্তি আছে। তাদের রুখতে হলে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।

ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, অগ্নিযুগের পটিয়া। এখানে জাতির জনক এসেছিলেন। শেখ হাসিনা এসেছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম আগমন। ২১ মার্চ পটিয়ার সমাবেশ হবে বাংলাদেশের ইতিহাস। শৃঙ্খলায়ও ইতিহাস সৃষ্টি করতে হবে।

বক্তারা বলেন, পটিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম শামসুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক, পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।