ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্কুলের ফি ৮০০ টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
স্কুলের ফি ৮০০ টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ স্কুলের ফি ৮০০ টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন এলিমেন্টারি স্কুলের অভিভাবকেরা

চট্টগ্রাম: নগরীর এমএম আলী সড়কের বেসরকারি বাংলাদেশ এলিমেন্টারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের মাসিক ফি (বেতন) ৮০০ টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবকেরা।

সোমবার (১২ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই ভুয়া সম্মতিপত্র দাখিল করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা ও আইসিটি) অনুমোদন নিয়ে আকস্মিকভাবে মার্চে এসে ৮০০ টাকা মাসিক ফি বাড়ানোর নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছে।

বিক্ষোভ চলাকালে অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মনসুর, সরফুদ্দিন চৌধুরী রাজু, শামসুল আলম লিটন, ব্যবসায়ী নেতা মাহবুব রানা, অধ্যাপক রেজাউল করিম মহিউদ্দিন প্রমুখ।

অভিভাবকদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে স্কুলে ছুটে আসেন নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান, মো. শাহেদ নোমান, মেহেদী হাসান, নোমান চৌধুরী রাখিন, তানভিরুল মাসুদ প্রমুখ।

 

এরপর ছাত্রলীগ নেতারাসহ অভিভাবকরা স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ সময় অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বেতন বাড়ানোর বিষয়টি ধরা পড়ে।

হাসান মনসুর বাংলানিউজকে জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের অন্ধকারে রেখে, কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই ৮০০ টাকা মাসিক বেতন বাড়িয়েছে। এখন অষ্টম শ্রেণিতে আমার যে ছেলে পড়ছে তার বেতন আসবে মাসে ৩ হাজার ৮০০ টাকা। তারা যদি আমাদের ডিসেম্বরে বলে দিতেন তবে আমরা সন্তানকে অন্য স্কুলে ভর্তি করাতাম। মার্চে এসে হঠাৎ করে ৮০০ টাকা করে বেতন বাড়ানোটা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো।

তিনি বলেন, একজন ছাত্রের কাছ থেকে ৮০০ টাকা বেশি নেওয়া হলে আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর পেছনে অভিভাবকদের মাসে কত টাকা বেশি দিতে হবে সেই হিসাব করার কেউ নেই।  

নুরুল আজিম রনি বাংলানিউজকে বলেন, এলিমেন্টারি স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। তারা ভুয়া অভিভাবক বানিয়ে সই নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে বেতন বাড়ানোর অনুমোদন নিয়ে এসেছে। আমরা বেতন বাড়ানোর এ উদ্ভট সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে দুই দিনের আলটিমেটাম দিয়েছি।

তিনি জানান, শুধু বেতন বাড়ানোর বিষয়ে নয়, স্বচ্ছভাবে অভিভাবকদের সভা করে প্রয়োজনে নির্বাচনের মাধ্যমে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য দাবি জানিয়েছি। যাতে অভিভাবকদের স্বার্থহানির মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। অন্যথায় আমরা জাতীয় শিক্ষা নীতিমালা অমান্যের অপরাধে আন্দোলনসহ প্রশাসনিক শাস্তির বিষয়ে সর্বাত্মক কর্মসূচি দেব।

তিনি বলেন, সরকার যেখানে বিনামূল্যে পাঠ্যবই দিয়ে শিক্ষিত জাতি গঠনে কাজ করছে তখন একশ্রেণির মানুষ শিক্ষাকে পণ্য বানাতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ সবসময় সোচ্চার থাকবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।