পুলিশ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), ফায়ার সার্ভিস সবারই চেষ্টা ছিল যুবককে নামানোর। কিছুতেই কিছু যখন হচ্ছিল না তখন এক নারীকে মা সাজিয়ে করুণ কণ্ঠে আহ্বান জানানো হয়।
রোববার (১১ মার্চ) বেলা সোয়া দুইটায় এ ঘটনা ঘটে নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সংযোগ সড়কের পুরোনো থানা ভবনের সামনে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাকলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. তোফাজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নাছির নামের ওই তরুণ কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ। তার মা ছোট বেলায় মারা যায়। এরপর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বাবা ও সৎ মায়ের বক্তব্য হচ্ছে ছেলের ওপর জিন ভর করেছে। তাই সুযোগ পেলেই বৈদ্যুতিক টাওয়ারে উঠে যায়।
এসআই বলেন, নকল মা সাজিয়ে অনেক কৌশল করে তাকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এ সময় ঢাকার অনুমতি নিয়ে ১০ মিনিটের জন্য গ্রিড লাইন বন্ধ রাখা হয়। এরপর দ্রুত তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডের ৪ নম্বর শয্যায় ভর্তি করি। তার অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত।
তিনি বলেন, টাওয়ার থেকে নামানোর পর তার পরনে ছিল শুধু পাঞ্জাবি। হাসপাতালে ভর্তির পর আমি নিজেই ১৬০ টাকা দিয়ে একটি লু্ঙ্গি, ওষুধপত্র কিনে দিয়েছি নাছিরকে।
ফায়ার সার্ভিসের লামার বাজার স্টেশনের লিডার মো. হেলাল বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে আমাদের একটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পিডিবির কর্মীদের সহায়তায় তাকে নামিয়ে আনার পর আমরা পুলিশকে বুঝিয়ে দিই।
ইদানীং চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ারের নিচের দিকে কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় একশ্রেণির তরুণ চূড়ায় উঠে পড়ছে। এর আগে রাউজান, পটিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে টাওয়ার থেকে নামানো হয়েছে তরুণদের। জীবনহানি এড়াতে টাওয়ারের নিচের দিকে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এআর/টিসি