চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) সম্মেলন কক্ষে সভায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বর্ষা মৌসুম আসতে আরও দুই-তিন মাস সময় আছে। এ সময়ের মধ্যেই ১০টি হোক, ১৬টি হোক নগরীর যেসব খাল রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে উদ্ধার করতে হবে।
জলাবদ্ধতা নিরসনের তাগিদ দিয়ে পূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৩৬টি খালের মধ্যে এ মৌসুমে ১৬টি খালের ডিজাইন দেখে কনসালটেন্ট প্রকল্পের কাজে হাত দেবেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে বলে একনেক থেকে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়েছি। চট্টগ্রামের উন্নয়নে এ প্রকল্পের গুরুত্ব অনেক বেশি। ’
প্রকল্প বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করে চউক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ’র নেয়া এ বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), বন্দর, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরের সহযোগিতা প্রয়োজন। চট্টগ্রামের মানুষের দুঃখ লাঘবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন একান্ত জরুরি। শুরুতেই আমরা ৩৬টি খালের মধ্যে ১৬টি খালের কাদা পরিষ্কার ও খননে নামবো।
এ সময় আরএস জরিপ অনুযায়ী খাল পুনরুদ্ধারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন সিডিএ চেয়ারম্যান।
সভায় সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল মজিদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়েরর সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী একেএম সামশুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদ উল হাসান, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. আল মামুন, চট্টগ্রাম বন্দরের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম আরিফুর রহমান, সিডিএ বোর্ড সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, চউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান, প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাঈনুদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৮
এসবি/টিসি