ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চ্যালেঞ্জিং পেশাতে নারীরা এখন সফল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৮
চ্যালেঞ্জিং পেশাতে নারীরা এখন সফল সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক, পশ্চিম) তানজিলা সিদ্দিকা

চট্টগ্রাম: নারীরা এখন সব চ্যালেঞ্জিং পেশাতেই সমানভাবে সফল বলে মনে করেন নগর পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক পশ্চিম) তানজিলা সিদ্দিকা

ট্রাফিক বিভাগে নিজের কাজের অভিজ্ঞতার কথা বলতি গিয়ে তিনি বলেন, এখানে কাজ করতে হলে প্রচুর এনার্জি ও ধৈর্যের প্রয়োজন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মুভমেন্ট করতে হয়।

‘পুলিশ বিভাগে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত। এটি একটি জেন্ডার নিউট্রাল বিভাগ।

এ বিভাগে নারীদের কর্মদক্ষতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ’

এ প্রজন্মের কিশোরী-তরুণীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শালিক, ফড়িং এ জীবনে নয়। আত্ম মর্যাদাশীল মানুষের জীবন বেছে নেওয়ার লক্ষ্যে নিজেকে তৈরি করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস। দিবসটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সফল এ নারী পুলিশ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছর নারী দিবস এলেই একই ভাবনা মাথায় ভিড় করে। এ সমাজে নারীদের অবস্থান কোথায়, তারা কি পারছে পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমান আত্মমর্যাদায় নিজেকে এগিয়ে নিতে?

সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক, পশ্চিম) তানজিলা সিদ্দিকা

পেশাগত জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, সত্যি বলতে কি মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে। তাদের মধ্যে আশা-হতাশার চিত্র দেখেছি। কিন্তু আশার কথা হলো এখনকার বাবা-মায়েরা কন্যা শিশুদের শিক্ষার বিষয়ে ছেলেদের মতো সমান গুরুত্ব দিচ্ছে।

‘মিনা কার্টুনে দেখেছি ভাই রাজু স্কুলে যায়। মিনা তার ছোট বোনকে দেখা শোনার জন্য স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। সেই চিত্র এখন আর নেই। কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়ার পরেও দেখা যায় সংসার জিবনকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে নারীরা তাদের পেশাগত জীবন ব্যার্থ করে দেন। ফলে স্বতন্ত্র পরিচয়ে গড়ে ওঠা সম্ভব হয় না।

পেশাগত কারণে অপরাধ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি সংসারের সুখের জন্য নারীরা এখনো কি পরিমান নির্যাতন সহ্য করেন। তার মতে অধিকাংশ আত্মহত্যার ক্ষেত্রে অপমৃত্যু মামলা ও চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। অথচ আত্মহত্যায় প্ররোচনাদানকারীদের আসামি করা উচিত। তবে পেশাগত জীবনে কাজ করতে গিয়ে মানুষের সাথে বসে সরাসরি তাদের সমস্যার কথা শুনেছি। বাদী-বিবাদী উভয়কে ন্যায় বিচার দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৮

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।