নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
ডেভিড হার্টম্যান চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মন্তব্য করে বলেন, কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে।
ডেভিড হার্টম্যান বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্থনীতির সাফল্যের প্রশংসা করে দু’দেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ, শিক্ষা, গ্রিন প্রযুক্তি, অ্যারোস্পেস, রেল ও গ্যাস খাতে কানাডিয়ান উদ্যোক্তাদের সামর্থ্য কাজে লাগানোর কথা তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার বেনওয়া প্রেফনটেইন বাংলাদেশ ও কানাডা মধ্যকার সম্পর্ক স্বাধীনতা পরবর্তী ৪৬ বছরে অত্যন্ত দৃঢ় ও বন্ধুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে বলেন, কানাডিয়ান সরকার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নের সাফল্য, বিশাল বাজার, বিপুল জনসংখ্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে উভয় দেশ আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
ভাল বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত নয় মন্তব্য করে ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণে দৃষ্টি দিবেন বলেও জানান তিনি।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে কানাডার বিনিয়োগ অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে এফডিআই’র ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রদত্ত সুবিধাসমূহ তুলে ধরেন।
তিনি কানাডা বিনিয়োগকারীদের জন্য কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, আইটি ও টেলিকমিউনিকেশন, তেল, গ্যাস ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, ইঞ্জিনিয়ারিং, জাহাজ নির্মাণ ও সেবা খাত বিশেষ সম্ভাবনাময় বলে জানান।
এছাড়া চেম্বার সভাপতি ব্লু ইকোনমির উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান পরিকল্পনা বৈদেশিক বিনিয়োগের সম্ভাবনাকে আরো বৃদ্ধি করবে বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি দু’দেশের সরকারের মাঝে ইনভেস্টমেন্ট প্রটেকশন এগ্রিমেন্ট নিয়ে বর্তমানে যে আলোচনা চলছে তা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে কানাডার সরাসরি বিনিয়োগ অধিকহারে বৃদ্ধি পাবে বলেও আশা করছেন মাহবুবুল আলম।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বক্তারা গণ ব্যবস্থাপনা স্কুল, মেধা ও কারিগরিভিত্তিক কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান স্থাপন, কাগজ শিল্প, শিক্ষা, দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নে রিচার্স সেন্টার, এনার্জি, ব্লু ইকোনমি, শিপিং, স্বাস্থ্য, তৈরি পোশাক শিল্প, বন্দর অবকাঠামো, বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল, তেল ও গ্যাস খাতের উন্নয়নে কানাডার একক বা যৌথ বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. নুরুন নেওয়াজ সেলিম, সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মঈনুদ্দিন আহমেদ, অঞ্জন শেখর দাশ, তুর্কির অনারারী কনস্যুল জেনারেল সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান, জাপানের অনারারী কনস্যুল জেনারেল মো. নুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হার্বার অ্যান্ড মেরিন) কমডোর শাহীন রহমান, চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক, ওওসিএল’র ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, পূর্বকোণ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে কানাডা হাইকমিশনের ট্রেড কমিশনার মো. কামাল উদ্দিন, চেম্বার পরিচালক এ. কে. এম. আক্তার হোসেন, মো. জহুরুল আলম, মাহবুবুল হক চৌধুরী (বাবর), ছৈয়দ ছগীর আহমদ, সরওয়ার হাসান জামিল, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), এস. এম. শামসুদ্দিন, হাসনাত মো. আবু ওবাইদা, মো. শাহরিয়ার জাহান, মো. আবদুল মান্নান সোহেল, এইচআরসি’র সিনিয়র পরিচালক কাজী রুকুনউদ্দীন আহমেদ, ইপিবি’র পরিচালক কংকন চাকমা, বিকেএমইএ’র সাবেক পরিচালক শওকত ওসমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
এমইউ/টিসি