শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেসের ডিন ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।
প্রধান আলোচক ছিলেন ইউআইটিএস’র প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এবং পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেছেন, মনে রাখতে হবে প্রত্যেক শিক্ষার্থী আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, শিক্ষার্থীদের সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে উন্নত জীবন গড়ে তুলতে হবে। তাদের জীবনের শুরুতেই তারা যেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে। ইউআইটিএস দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিনা বেতনে শিক্ষাদান করে দেশের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।
সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, কঠোর পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। তাই এর কোনো বিকল্প নেই।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষাজীবন যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে জীবনে সাফল্য অনিবার্য। পার্থিব অগ্রগতির পাশাপাশি নৈতিক উন্নয়ন জাতির সার্বিক সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে ইউআইটিএস অবিরাম কাজ করে চলেছে।
তিনি বলেন, যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। মানুষের জীবনের যে অসীম শক্তি লুকানো আছে তাকে জাগ্রত করে, জীবনের সব বাধা মোকাবেলা করে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার সুযোগ করাই সত্যিকারের নেতৃত্ব। শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী মানব সন্তানকে বিধাতা করুণা বলে মহান করে সৃষ্টি করেছেন। এ কারণে যে, পৃথিবীতে মানব সন্তান বিধাতার প্রতিনিধিত্ব করবেন। শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষা, বিদ্যার সঙ্গে বিনয়, কর্মের সঙ্গে নিষ্ঠা, জীবনের সঙ্গে মূল্যবোধ, মানবপ্রেম এবং দেশপ্রেমের সংমিশ্রণ ঘটাতে না পারলে প্রকৃত পক্ষে সে শিক্ষা আসল শিক্ষা নয়। মানুষের মতো এত মহীয়ান, এত শক্তিমান আর কোনো সৃষ্টি এ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে নেই। তাই মানব
সন্তানদের মধ্যে লুকানো শক্তিকে জাগ্রত করে, মানবীয় গুণাবলিতে বলীয়ান মানব সন্তানদের নিজের শক্তিতে দাঁড়িয়ে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর মানসে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকমণ্ডলীর সহায়তায় আমরা আলোকিত মানুষ তৈরি করছি।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রভাষক তানিয়া তাবাসসুম তনু ও ফারহা ইসলাম মিমি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
এআর/টিসি